৪ ঘন্টা আগে
৪ ঘন্টা আগে
৪ ঘন্টা আগে
৫ ঘন্টা আগে
৫ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
চীন টিকটককে বাইটড্যান্সের অধীনে রাখতেই বেশি আগ্রহী, তবে তারা ইলন মাস্কের কাছে এটি বিক্রি করার বিষয়টি বিবেচনা করেছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হতে পারে।
চীনের কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন যে, যদি সুপ্রিম কোর্ট ১৯ জানুয়ারি টিকটক নিষিদ্ধ করার আইন অনুমোদন করে, তাহলে চীনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা ইলন মাস্কের কাছে বিক্রি করতে পারে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীন টিকটককে বাইটড্যান্সের অধীনে রাখতেই বেশি আগ্রহী, তবে তারা ইলন মাস্কের কাছে এটি বিক্রি করার বিষয়টি বিবেচনা করেছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হতে পারে। সেই অবস্থায়, মাস্কের এক্স টিকটক ইউএস অধিগ্রহণ করবে এবং প্ল্যাটফর্মটির ১৭ কোটি ব্যবহারকারী ও বিপুল বিজ্ঞাপন আয়ের সম্ভাবনা অর্জন করবে।
টিকটকের একজন মুখপাত্র ভ্যারাইটি-তে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রতিবেদনটিকে সম্পূর্ণ কাল্পনিক বলে অভিহিত করেছেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাইটড্যান্স এবং টিকটক চীনের এলন মাস্ককে বিক্রির বিষয়ে আলোচনার কতটুকু জানে, তা স্পষ্ট নয়। এটি সম্ভবত চীনের প্ল্যাটফর্মটির ওপর কথিত প্রভাবকে তুলে ধরে, যা প্রথমে এই আইন প্রণয়নের পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
এদিকে সিএনএন’র প্রতিবেদন অনুসারে, টিকটক নিষিদ্ধ করতে অনেকটা উঠেপড়ে লেগেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, মার্কিনরা মনে করছে, চীনের মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ১৯ জানুয়ারির আগে মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স থেকে আলাদা হতে হবে টিকটককে। গত শুক্রবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট প্ল্যাটফর্মটি নিষিদ্ধের আইন বহাল রাখার সম্ভাবনা কথা জানিয়েছেন।
‘টিকটক বনাম গারল্যান্ড’ মামলাটি টিকটক ও মার্কিন সরকারের মধ্যে চলমান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস বাইটড্যান্সের ওপর গোয়েন্দা কার্যক্রমের সন্দেহজনক দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
বিচারক ব্রেট কাভানাহ জানান, বিদেশের অনেক সংস্থার যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে জাতীয় হুমকি হতে পারে। তাই বিষয়টি জোরালোভাবে দেখতে হবে।
‘নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে আমরা বিতর্ক করছি না। কিন্তু মার্কিন সরকারের টিকটক নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টার পদ্ধতি নিয়ে আমাদের গভীর আপত্তি রয়েছে। যদি সুপ্রিম কোর্ট এই আইনের পক্ষে রায় দেয়, তবে এটি অন্যান্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে এবং মার্কিন নাগরিকদের স্বাধীনতা ও বাক্স্বাধীনতায় গুরুতর প্রভাব ফেলবে।’ জানালেন বাইটড্যান্স এবং টিকটকের আইনজীবী নোয়েল ফ্রান্সিসকো।
বিচারপতিরা আইনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করার সময় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তাঁরা আইনটি সমর্থন করতে আগ্রহী। যদিও কিছু বিচারপতি এর প্রথম সংশোধনীর প্রভাব নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বাইটড্যান্সের পক্ষ থেকে মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে টিকটকের, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম হিসেবে পরিচিত এটি। তাই বলা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে শেষ পর্যন্ত টিকটক নিষিদ্ধ হলে দেশটির নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ ও সিএনএন
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...