বুধবার

ঢাকা, ২৬ মার্চ ২০২৫

সর্বশেষ


গ্যাজেট

আসছে ফোল্ডেবল আইফোন এয়ার

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুর ১:২৯

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

একইভাবে ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জেড সিরিজ ও গুগলের পিক্সেল ফোল্ড সিরিজকে বিবেচনায় রাখবে অ্যাপল- এমনটাই ধারণা করছেন প্রযুক্তি জগতের অনেকে।

আজকের প্রযুক্তি বাজারের চাহিদার নিরিখে আইফোন নির্মাতা অ্যাপল বেশ কয়েকটি ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

আইফোন ১৭ সিরিজের অংশ হিসেবে এ বছরই বাজারে আসতে পারে স্লিম (পাতলা) ডিজাইনের একটি মডেল- যার নাম আইফোন এয়ার। পাশাপাশি আগামী বছরই হয়তো একটি ফোল্ডেবল (ভাঁজযোগ্য) বা ফোল্ড আইফোনের দেখা পেতে পারেন অ্যাপলভক্তরা।

সম্প্রতি ‘ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন’ নামের একটি সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাবনাকে আরও জোরাল করে তুলেছে।

‘আইফোন এয়ার’ নিয়ে আসার মাধ্যমে অ্যাপল চাইছে স্লিম ডিজাইনের প্রিমিয়াম ফোনের ক্যাটাগরি’তে স্যামসাং ও গুগল পিক্সেলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে। একইভাবে ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জেড সিরিজ ও গুগলের পিক্সেল ফোল্ড সিরিজকে বিবেচনায় রাখবে অ্যাপল- এমনটাই ধারণা করছেন প্রযুক্তি জগতের অনেকে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন তাঁদের উইবো অ্যাকাউন্ট (চীনের মাইক্রোব্লগিং সাইট) থেকে পোস্ট করে জানায় যে, অ্যাপল সক্রিয়ভাবে একটি ফোল্ডেবল আইফোনের প্রোটোটাইপ (প্রাথমিক ভার্সন) নিয়ে কাজ করছে, যার ডিজাইন বই আকারের (বুক শেপড্‌), ক্ল্যামশেল নয়। ফলে ব্যবহারকারীরা ট্যাবলেট পিসি’র অভিজ্ঞতাও পাবেন এই ফোল্ড আইফোনে।

শুধু তাই নয়, ফোল্ড আইফোনটির বাইরের ও ভেতরের ডিসপ্লে সাইজ সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছে ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন। ফোল্ডেবল আইফোনের বাইরে ও ভেতরে যথাক্রমে ৫.৪৯-ইঞ্চি ও ৭.৭৪-ইঞ্চির দুটি ডিসপ্লে থাকবে। এর ফলে এই ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে ছোট আকারের ফোনগুলোর একটি হতে চলেছে এই ফোল্ডেবল আইফোন।

বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাং গ্যালাক্সি’র জেড ফোল্ড ৬ এবং গুগল পিক্সেল ৯ প্রো ফোল্ড মডেলের চেয়েও আকারে বেশ খানিকটা ছোট হবে ফোল্ড আইফোনটি।

ডিজিটাল চ্যাট স্টেশন কর্তৃক প্রদত্ত তথ্য থেকে বেশ অনুমান করা যাচ্ছে যে, কমপ্যাক্ট ডিজাইনের ফোল্ড বা ভাঁজযোগ্য ফোনের প্রিমিয়াম ক্যাটাগরি’তে বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবেই অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে ফোল্ডেবল আইফোনের মডেলটি।

বই আকারের ডিজাইন হওয়ায় আনফোল্ড অবস্থায় ফোনটিকে ছোট আকারের ট্যাবলেট পিসি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন আইফোনপ্রেমীরা। পাশাপাশি সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রেও অ্যাপলের জুড়ি নেই। ফলে বিভিন্ন আকারের ডিসপ্লেতে অ্যাপ ট্রানজিশন হবে নির্বিঘ্নে।

আইফোন এয়ার ও ফোল্ড আইফোনে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-ভিত্তিক এআই ফিচার যে থাকবে তা নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই আশা করা যায়, আইফোন ১৬ সিরিজে ব্যবহৃত এ১৮ চিপের সমকক্ষ উন্নতমানের কোনো প্রসেসর-ই থাকবে এই মডেল দুটি’ত। সূত্র: ফোর্বস, গিজমোচায়না

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৭০ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর