১৬ ঘন্টা আগে
১৮ ঘন্টা আগে
ছবি: সংগৃহীত
উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করছে এমন কঠোর নিয়মের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রতিরোধের সময়ে কীভাবে নিরাপদ উপায়ে এআইকে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার অনুষ্ঠিত এআই সম্মেলনে বৈঠক করছেন বিশ্বনেতা ও প্রযুক্তি নির্বাহীরা।
সময়ের আলোচিত ও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর ঝুঁকি নিরসন ও নিরাপদে ব্যবহারের উপায় খুঁজে বের করতে প্যারিসে বসছে দুই দিনের গ্লোবাল এআই সম্মেলন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আয়োজিত এআই সম্মেলনে অংশ নিয়ে কথা বলবেন মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাই ও ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানসহ বিশ্ব নেতা ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
‘উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করছে এমন কঠোর নিয়মের বিরুদ্ধে ক্রমাগত প্রতিরোধের সময়ে কীভাবে নিরাপদ উপায়ে এআইকে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার অনুষ্ঠিত এআই সম্মেলনে বৈঠক করছেন বিশ্বনেতা ও প্রযুক্তি নির্বাহীরা।’ বলেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরে ব্রিটেন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত আগের বিভিন্ন এআই সম্মেলনগুলো প্রযুক্তির ঝুঁকির ওপর বেশি গুরুত্ব দিলেও, এখন এআইয়ের লাগাম টেনে ধরার আগ্রহ অনেকটা কমে গেছে। তাই এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির নজর এআইয়ের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ওপর থাকবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এআই নীতিতে শিথিলতা আনছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকে। ইউরোপীয় নীতিনির্ধারকদের ওপরও চাপ বাড়ছে, যাতে তারা কঠোর নিয়ম না করে ইউরোপের কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁসহ কিছু ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতা ও বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি আশা করছেন, ইইউ’র দেশভুক্ত বিভিন্ন স্টার্টআপকে সহায়তা করার জন্য নিজেদের নতুন এআই আইনে খানিকটা নমনীয়তা আনবে কমিশন।
এক সাক্ষাৎকারে ফরাসি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘কোনও নিয়ম না রাখার বিষয়টি যেমন বিপজ্জনক, ঠিক তেমনি ইউরোপ যদি নিজেদের অনেক বেশি নিয়মের মধ্যে বেঁধে রাখে এরও বিপরীত ঝুঁকি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবনকে ভয় পাওয়া উচিত নয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্পের এআই নীতির কারণে বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইইউ, এআই নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলো একে অপরের থেকে অনেকটাই আলাদা।
গত বছর ইইউ বিশ্বের প্রথম এআই আইন তৈরি করে, যা প্রযুক্তির ওপর কিছু নিয়মকানুন আনে। কিন্তু প্রযুক্তি কোম্পানি ও কিছু দেশ চায়, এসব নিয়ম নমনীয়ভাবে প্রয়োগ করা হোক। এখন ব্রাসেলস এই আইনের জন্য একটি আচরণবিধি তৈরি করছে।
ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা চ্যাটাম হাউস বলছে, ট্রাম্পের শিথিল নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছে, কারণ তারা সাধারণত কঠোর নিয়ম চায় না। তবে ইউরোপকে এই কোম্পানিগুলো থেকেই বিনিয়োগ আনতে হবে।
‘চীনের এআই চ্যাটবট ডিপসিক গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে, একটি সিস্টেম ছড়িয়ে দিয়ে যা মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে, আর এতে অন্যান্য দেশ ও কোম্পানিগুলোও দ্রুত এগিয়ে যেতে চেষ্টা করছে।’
চ্যাটাম হাউস বলছে, ‘এআই বিকাশের জন্য বিশ্বব্যাপী এক অপ্রত্যাশিত দৌড় চলছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অভ্যন্তরীণ দিকে মনোযোগ দিয়েছে এবং চীন নতুন ক্ষমতা দেখাচ্ছে।’
তবে এ এআই সম্মেলনে প্যারিসে ‘মার্কিন এআই সেফটি ইনস্টিটিউট’ পাঠাচ্ছেন না ট্রাম্প, যা এআই নিয়ন্ত্রণের জন্য এক উদ্বেগজনক ইঙ্গিত।
জানা গেছে, সম্মেলনে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঝাং গুওকিং’সহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিসেরও এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার গুওকিং ও মঙ্গলবার ভ্যানসের সঙ্গে ম্যাক্রোঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। সূত্র: রয়টার্স।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...