মণিপুরী তাঁত পণ্য নিয়ে রাজধনীতে প্রদর্শনী

প্রকাশ: ০৩:০৪ মিঃ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
Card image cap
ছবি:

দেশি পণ্যের প্রচারের সাথে সাথে মণিপুরী পণ্যের প্রচার ও প্রসার বেড়েছে। সেজন্য বর্তমানে মণিপুরী বলতে আমরা শুধু শাড়িই বুঝি না। বরং পার্স, ব্যাগ, স্যান্ডেল, গহনা ইত্যাদিও দেখতে পাচ্ছি। একটি পণ্যের যত বেশি ফিউশন আসবে ও ব্যবহার বাড়বে তত বেশি এর চাহিদা বৃদ্ধি বাড়বে। তবে এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কজ করতে হবে উদ্যোক্তাদের।

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিনিধি

মণিপুরী তাঁত পণ্যের প্রচার ও প্রসার এবং ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে রাজধনীতে এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার (৫ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুর ক্লাবমিক্স রেস্তোরাঁয় এই প্রদর্শনী অয়োজিত হয়।  

প্রদর্শনীতে মণিপুরী তাঁত পণ্যের উপর এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর সাবেক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাজিব আহমেদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)-এর সভাপতি কাকলী তালুকদার, বিশেষ অতিথি নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক জাকির তালুকদার প্রমুখ। ঢাকা ও ঢাকার বাইর থেকে অর্ধশত দেশি পণ্যের ই-কমার্স উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন। 

রাজিব আহমেদ বলেন, ‌‌‘‘দিনে দিনে ডলারের সংকট বড়াছে। তা মোকাবিলা করতে দেশি পণ্যের প্রচার, ব্যবহার ও উৎপাদনে নজর দেওয়া জরুরি। আমাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলোর জিআই স্বীকৃতি ও নিবন্ধন পেতে কাজ করা দরকার। জিআই পণ্য স্বতন্ত্র ও স্থানীয় হওয়ার কারণে তা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। যা আমাদের রিজার্ভ এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।’’

কাকলী তালুকদার বলেন, “দেশি পণ্যের প্রচারের সাথে সাথে মণিপুরী পণ্যের প্রচার ও প্রসার বেড়েছে। সেজন্য বর্তমানে মণিপুরী বলতে আমরা শুধু শাড়িই বুঝি না। বরং পার্স, ব্যাগ, স্যান্ডেল, গহনা ইত্যাদিও দেখতে পাচ্ছি। একটি পণ্যের যত বেশি ফিউশন আসবে ও ব্যবহার বাড়বে তত বেশি এর চাহিদা বৃদ্ধি বাড়বে। তবে এর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কজ করতে হবে উদ্যোক্তাদের।”

বিশেষ অতিথি জাকির তালুকদার উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “জিআই পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলে মণিপুরি হস্তশিল্পের আইনি সুরক্ষা সম্ভব হবে।  ক্রেতাদের আসল মণিপুরি পণ্য চিনতে সুবিধা হবে। দেশি পণ্যের সঠিক তথ্য সরবরাহে ইডিসি একটি অন্যতম মাধ্যম।”

প্রদর্শনীতে ৭ জন উদ্যোক্তা হস্ত চালিত মণিপুরী তাঁতের শাড়ি, গামছা, ওড়না, ব্যাগ, মাফলারসহ বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে ফিউশন করে মণিপুরী বেবি শাড়ি, ফ্রক, কুশন কাভার, কটি, পঞ্চ, পার্স, গহনার পসরা সাজিয়েছে। এতে তাদের প্রায় লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।


সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৩১৭ বার