বিশ্বনেতাদের প্রতি পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান পলকের
প্রকাশ: ০৪:৩৬ মিঃ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
আমরা চাই অংশীজনদের নিয়ে একসঙ্গে স্ব-নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে। তবে আমরা আত্মকেন্দ্রিক হতে চাই না। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত সম্ভাবনামীয় নেতাদের নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে।
প্রতিযোগিতা না করে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জনে বিশ্বনেতার একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের এলইএপি মিনিস্ট্রিরিয়াল সেশনে প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনের মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত এই প্যানেল আলোচনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের বিভিন্ন কৌশল তুলে ধরেন বক্তারা।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে পলক বলেন, ‘‘এখন প্রতিযোগিতার সময় নয়, সহযোগিতার। আমরা চাই অংশীজনদের নিয়ে একসঙ্গে স্ব-নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে। তবে আমরা আত্মকেন্দ্রিক হতে চাই না। আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যত সম্ভাবনামীয় নেতাদের নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে। কেননা, বাংলাদেশের অনন্য শক্তি হচ্ছে জনসম্পদ যাদের সিংহভাগই মধ্যম আয়ের ভোক্তা। বোস্টন কনসাল্টেন্ট গ্রুপের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমাদের দেশে এখন ৩ কোটির মতো মধ্যম আয়ের ভোক্তা রয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৫ কোটিতে উন্নীত হবে। কারণ ওই সময়ে মধ্যে তাদের ডিজিটাল ডিভাইস কেনার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তাই এই বাজার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রেরণা শক্তি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, প্রযুক্তিপ্রেমী এবং খোলা মনের মানুষ। তিনি বিশ্বাস করেন নিজে ব্যবসা না করে সরকার ব্যবসায়ের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। আমাদের তরুণরা এখন চাকরির পেছনে না খুঁজে উদ্যোক্তা হচ্ছে। এজন্য আমরা তাদের মেন্টরিং করছি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেটর সেন্টার স্থাপন করছি। একইসঙ্গে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা স্টার্টআপ বাংলাদেশ কোম্পানি গঠন করেছি। সে জন্য স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছি।’’
বাংলাদেশে নতুন উদ্যোগের সম্ভবনা তুলে ধরে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, ‘‘গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশেল জিডিপি হার ৬ শতাংশের ওপর রয়েছে। শুধু কোভিডের সময় ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিলো। এখন দেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতির উত্থান ঘটেছে। খুবই ব্যাবসাবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। রাজনৈতিক অবস্থাও বেশি স্থিতিশীল। এসবই বিদেশী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু বহুজাতিক কোম্পানি স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্ব ব্যবসা করছে।’’
বিদ্যুৎ, রেল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ভূমি খাতে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘‘এই খাতগুলোতে সরকারকে বেশ খরচ করতে হয় এবং নতুন নতুন সল্যুশন ইন্ট্রুডিউস করতে হয়। বাংলাদেশের বাজার আইসিটি উদ্যোক্তাদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।’’
“ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অথরিটি” প্যানেলে দুবাই ভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা এমকান করপোরেশন সার্ভিসের প্রতিষ্ঠাতা ইসাক অ্যাপলবাউমের সঞ্চালনায় ইন্দোনেশিয়ার সাবেক যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এইচই রুদিয়ানতারা এস স্ট্যাট।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৮৯ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।