স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্ম সবচেয়ে বড় শক্তি
প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৯:২৫
স্মার্ট নাগরিকরাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি। পোষাক কিংবা প্রসাধনীতে নয়, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করাই হচ্ছে স্মার্টনেস। তুমি স্মার্ট হলে বাংলাদেশ স্মার্ট হবে।
নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগিরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষক অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘‘দেশের বর্তমান প্রজন্ম অসাধারণ মেধাবি, তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা পৃথিবীতে বিরল। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তাদের হাত ধরেই ২০৪১ সালে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’’
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব আয়োজিত ৮ম ডিসিএসসি বিজ্ঞান মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।
বিজ্ঞানের ছাত্ররাই কেবল বিজ্ঞান চর্চা করে পঞ্চম শিল্পবিপ্লব এ ধারণাটি পাল্টে দিয়েছে উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, ‘‘মানব সভ্যতার বিকাশের স্তর ছিল বাস্পীয় ইঞ্জিনভিত্তিক প্রথম শিল্পবিপ্লব, বিদ্যুৎভিত্তিক দ্বিতীয় এবং ইন্টারনেটভিত্তিক তৃতীয় শিল্পবিপ্লব যুগ। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মানে যন্ত্রের উপর নির্ভরতা। পৃথিবী মানুষের জন্য, মানুষের নিয়ন্ত্রণে যন্ত্র থাকবে মানুষকে সহায়তা করার জন্য। মানুষ ও যন্ত্রের মিশেলে গড়ে উঠছে পঞ্চম শিল্প বিপ্লব।’’
পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্ম আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট মানুষ চেয়েছেন উল্লেখ করে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘‘স্মার্ট নাগরিকরাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি। পোষাক কিংবা প্রসাধনীতে নয়, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করাই হচ্ছে স্মার্টনেস। তুমি স্মার্ট হলে বাংলাদেশ স্মার্ট হবে।’’
সন্তানদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দিতে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ লাইব্রেরী। স্মার্ট ফোনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই।’’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘‘স্মার্ট ফোনের সঠিক ব্যবহার করে তুমি তোমার জ্ঞান অর্জন করে সেরাদের সেরা হতে পার।’’
ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির হাত ধরে বাংলাদেশ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশই প্রথম পৃথিবীতে তার দেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবেও পৃথিবীতে বাংলাদেশই প্রথম দেশ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল এবং তা বাস্তবায়নও হয়েছে।’’
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম, ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ এটিএম মাইনুল হোসেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল কুদ্দুস শিকদার, অধ্যাপক শরিফা সুলতানা এবং ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৮৪ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।