বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিটে দিক-নির্দেশনা পেলেন হাজারো তরুণ
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০৯:১৯
এদেশের মানুষ সবসময়ই উদ্ভাবনী শক্তি লালন করে। এই শক্তি বিকাশে সবাইকে নিজেদের কাজে মনযোগী হতে হবে।যেকোনো কাজ করতে হলে সে সম্পর্কে থাকতে হবে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং এর জন্যে গবেষণা। আর পড়ার কোন বিকল্প নেই।
আমাদের তরুণরা অনেক মেধাবী। তাদের মধ্যে অনেক উদ্ভাবনী সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেটাভার্স, ওয়েব ৩.০, স্কিল ডেভেলপমেন্টের মতো অ্যাডভান্সড টেকনোলজির প্রতি অনেক আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিটের মতো এমন উদ্ভাবনী আয়োজনের মধ্য দিয়েই মেধাবী তরুণদের খুঁজে বের করা সম্ভব।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিট-২০২৩ এ বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং রাইজ আপ ল্যাবস-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও এবারই প্রথমবারের মতো দেশ এবং বিদেশ থেকে অনলাইনেও অংশ নেন আরো প্রায় সহস্রাধিক অংশগ্রহণকারী ।
তরুণ উদ্যোক্তা আশিক খানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে ১০টির বেশি আলাদা সেশন এবং ২টি প্যানেল ডিসকাশনে এবারের আয়োজনে প্রায় ২০ জনের অধিক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বক্তা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সবুর খান এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ-এর প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর আব্দুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সবুর খান বলেন, “এদেশের মানুষ সবসময়ই উদ্ভাবনী শক্তি লালন করে। এই শক্তি বিকাশে সবাইকে নিজেদের কাজে মনযোগী হতে হবে।যেকোনো কাজ করতে হলে সে সম্পর্কে থাকতে হবে পর্যাপ্ত জ্ঞান এবং এর জন্যে গবেষণা। আর পড়ার কোন বিকল্প নেই।’’ এই সম্মেলনের উপস্থিতির মধ্য থেকেই কেউ হয়তো আগামীতে এমন কোন উদ্যোগ নিবে, যা সারা পৃথিবীতে নতুন এক বিপ্লব আনবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ-এর প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘এখন চলছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। মোবাইল ইন্টারনেট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিন লার্নিং হচ্ছে চতুর্থ বিপ্লবের চালিকাশক্তি। প্রযুক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নিশ্চিত হবে আগামীর সমৃদ্ধি।’’
অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে ছিলেন বেসিস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু দাউদ খান, বিডিজবস্ ডট কম-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর, আমাজন ওয়েব সার্ভিসেস, ইউএসএ এর লিডার, সল্যুশন আর্কিটেকচার মোহাম্মদ মাহদী উজ জামান, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক শারমিনা জামান, স্টার কম্পিউটার সিস্টেমস লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রেজওয়ানা খান, রাইজা আপ ল্যাবস-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল হক, ক্রিয়েটিভ আইটি লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ওয়ার্ল্ড রোবট অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ-এর জেনারেল সেক্রেটারি ও কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রেদওয়ান ফেরদৌস, এইচটিটিপুল-এর পার্টনার ডিরেক্টর মুনাফ মজিব চৌধুরী, দ্যা সিটি ব্যাংক লিমিটেড এর কোম্পানী সেক্রেটারি কাফি খান, ‘হুর নুসরাত’-এর স্বত্বাধিকারী নুসরাত আক্তার লোপা, স্কেল আপ-এর প্রতিষ্ঠাতা তাবেন্দা হোসেন, ওমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামের ওয়ার্কিং কমিটি ডিরেক্টর রাকিবা আহমেদ প্রমুখ।
আয়োজন সম্পর্কে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম-এর প্রেসিডেন্ট আরিফুল হাসান অপু বলেন, ‘‘এবারের সম্মেলনের প্রতিটি সেশন এমন ভাবে আমরা সাজিয়েছি, যাতে একজন অংশগ্রহণকারী এবারের সম্মেলন থেকে নানান প্রয়োজনীয় বিষয়, যেমন রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেটাভার্স, ওয়েব ৩.০, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ক্যারিয়ার নির্দেশনা, বিজনেস গ্রোথ, চাকরির বাজারে নিজেকে প্রস্তুতকরণ, বাংলাদেশে উদ্যোগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনা, ওমেন অন্ট্রপ্রেনরশিপ নিয়ে তরুণরা বিস্তারিত জানতে পারে।’’
বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিট-এর কনভেনর সৈয়দ মাহমুদ মুসা বলেন, ‘‘এবার সম্মেলনটি ৫ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো। এর আগেরবারের অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত। সম্মেলনের শিক্ষা তরুণদের মাঝে নতুন উদ্যোগ নিতে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করেন।’’
এবারের সামিটে কো-পার্টনার হিসাবে ছিল উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এবং ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট। সহযোগী হিসেবে ছিল রোবাস্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লি., স্টার কম্পিউটার সিস্টেম লিমিটেড, এমএমএস গ্লোবাল সার্ভিসেস এবং ওয়েডিং স্টাইল বিডি। ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে ছিল ইভেন্টস ফ্লুয়েন্ট এবং ই-টিকেটিং পার্টনার ই-সফট।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ২৫৪ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।