শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর আনন্দময় শিক্ষাব্যবস্থা চালুর তাগিদ
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০১:০৮
গবেষণা ও উন্নয়নে বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করা একটি কোম্পানির সফটওয়্যার যদি মেড ইন বাংলাদেশ হয়, তাহলে বুঝতে হবে আমাদের সন্তানদের যে মেধা আছে, সেটা বিশ্বমানের উপরে। বিশ্বমানের চেয়ে বেশি।
বৃটিশ শিক্ষা পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর আনন্দময় নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর তাগিদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম দেশ হিসেবে পরিণত করতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য প্রয়োজন অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। পৃষ্ঠপোষকতা করা। তারা আজ সেই বৃটিশ পদ্ধতিতে পড়ছে। তাই আমাদের উচিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের লেখাপড়ার পদ্ধতিতে ঔপনিবেশিক আমলের গোলামীর পদ্ধতি থেকে স্বাধীন করা দরকার। তাদের পাঠদান আনন্দময় করা দরকার।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মগবজারে অবস্থিত বিটিসিএল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাজিতক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে ব্যক্তি থেকে রাষ্ট্রজীবনে বাংলাভাষার চর্চা ও প্রতিষ্ঠা করতে হবে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ এখন পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের দিকে যাচ্ছে। এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় স্কুল-মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের যে উদ্ভাবন আমরা দেখেছি, তাতে আমার কলার উঁচু করার মতো অবস্থা। কেননা, গবেষণা ও উন্নয়নে বছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করা একটি কোম্পানির সফটওয়্যার যদি মেড ইন বাংলাদেশ হয়, তাহলে বুঝতে হবে আমাদের সন্তানদের যে মেধা আছে, সেটা বিশ্বমানের উপরে। বিশ্বমানের চেয়ে বেশি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ। এসময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বাংলা ভাষার পাশাপাশি অবলুপ্ত ভাষার প্রাণ ফিরিয়ে আনতে অবদান রাখছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাভাষার মধুরতার কথা তুলে ধরে অনুষ্ঠানের সভাপতি আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, ভাষা কেবল সাংস্কৃতিক বিষয় নয়, ভাষা প্রযুক্তি দেয় স্বাচ্ছন্দ্য এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। ভাষার সামাজিক প্রযুক্তি শক্তি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও জনযুদ্ধে রূপ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তেব্য বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার ভাষা আন্দলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা বর্ণনা করতে গিয়ে তুলে ধরেন ওই সময়ের ইন্টিলিজেন্স রিপোর্ট। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আসাদুজ্জামান চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক শাখায় ফাতেহ আল মাহরুম, আজমাইন ও আব্দুল্লাহ তাসনীন এবং খ শাখায় আরিফুজ্জামান সাইম, আহাদুল ইসলাম এবং তরঙ্গ জয় ধর বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়াও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক শাখায় প্রথম হয়েছে মেহজাবিন ইসলাম জাহিন (৫ম শ্রেণী), দ্বিতীয় স্নিগ্ধা ঘোষ (৫ম শ্রেণী) এবং তৃতীয় মারিয়া আক্তার মাহিমা (৪র্থ শ্রেণী)।
খ শাখায় বিজয়ীরা হলেন- তাসমিয়াহ তাসবীহ (৭ম শ্রেণী), মোরশেদা আক্তার (৮ম শ্রেণী) এবং আলিফ মনি (৮ম শ্রেণী)।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে মন্ত্রী ও সচিব ছাড়াও স্কুলের শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রত্যেক বিভাগের প্রধান ও স্কুল কমিটি।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৮২ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।