স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রত্যেককে প্রগতিশীল ও সৃজনশীল হতে হবে

প্রকাশ: ৫ মার্চ, ২০২৩, ০৪:২৩
Card image cap
ছবি:

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রত্যেককে ব্যক্তিগত জীবনে সহনশীল, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল হতে হবে বলে মত দেন  প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিনিধি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, অসাম্প্রাদায়িক ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনে আমাদের তরুণদের মধ্যে যে অদম্য স্পৃহা আছে, তাতে আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। ২০৪১ সাল নাগাদ একটি প্রগতিশীল, সহনশীল ও সৃজনশীল স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো।

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রত্যেককে ব্যক্তিগত জীবনে সহনশীল, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল হতে হবে বলে মত দেন  প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী।

রবিবার (৫ মার্চ) আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সবাইকে শান্তিপূর্ণ মানবিক বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও প্রতিটি নাগরিক একেক জন মানবিক নাগরিকে পরিণত হবো। অন্যের দুঃখে, দুঃখী হবো, অন্যের কষ্টে সমব্যাথি হবো। এটাই একজন নাগরিকের সবেচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কেবল শিক্ষিত হলেই হবে না। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের মানবিক হতে হবে। নৈতিক ও মূল্যবোধের শিক্ষায় জাগ্রত ও সচেতন হতে হবে। 

কেবল প্রকল্প বা পণ্যতেই সীমাবদ্ধ নয়; একটি দর্শনের ‍উন্নয়নও উদ্ভাবন উল্লেখ করে তরুণদের সেই দিকেও নজর দেয়ার আহ্বান জানান পলক। ডেটানির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অংশীদারিত্ব পদ্ধতি অনুসরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়ার সময় চূড়ান্ত পর্বের সবার ৭ উদ্ভাবককেই কাওরান বাজারের ভিশন টাওয়ারে কো-ওয়ার্কিং স্পেস এবং আইডিয়া ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে অর্থায়ন সহায়তার ঘোষণা দেন পলক। 

এসময় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, নরওয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সিলজে ফাইন ওয়াননিবো এবং বাংলাদেশ কিম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিত কুমার।

স্বাগত বক্তব্য দেন ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক এবং ইউএনডিপি’র প্রকল্প পরিচালক রবারর্ট স্টলেন।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, বেটার স্টোরিজের স্টোরি টেলার মিনহাজ আনোয়ার, বিথিকা হাসান, আব্দুল কাইয়ূম, সিদ্ধার্থ গোস্বামী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

৫ টি সফল কো-হোর্ট শেষে চূড়ান্ত উপস্থাপনায় একে একে সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরে সৃজনশীল উদ্ভাবকেরা। বিজয়ী ছাড়াও উদ্ভাবনী ধারণার ব্যাখ্যা তুলে ধরে লেটস স্প্রেড হিউম্যানিটি, ফিলিপ দ্য সাইড, টিম সাবা,ইলিউমিনেট এবং হারিকেন দলের সদস্যরা।

ধর্মীয় সম্প্রীতি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক ভিন্নতা এবং ডিজিটাল স্পেসে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির উদ্ভাবনী চ্যালেঞ্জ ‘ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ- ২০২২’ পর্বে যৌথভাবে সেরা উদ্ভাবনী উদ্যোগের পুরস্কার জিতেছে ‘ডিজিটাল পিস কিপার’ এবং টংগের গান। টিকটক, রিল, কৌতুক এবং ইলাস্ট্রেশনের মাধ্যমে গুজব, ডিজিটাল হয়রানি, সাইবার বুলিং, ধর্ম ও জতিগত সহিংসতার বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা ছড়াতে কাজ করবে ডিজিটাল পিস কিপার।  

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৭৩ বার

সম্পর্কিত পোস্ট