প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে করণীয় কী, জানালেন বক্তারা
প্রকাশ: ৭ মার্চ, ২০২৩, ০৭:৫৩
ডিজিটাল বাংলাদেশের যে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল সেটি হয়েছিল অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষের নেতৃত্বে। ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইউনিয়নগুলিতে ডিজিটাল ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, একটা ইউনিয়নে যদি কোন ছেলে উদ্যোক্তা কম্পিউটারে ইন্টারনেটনির্ভর সরকারি ডিজিটাল সার্ভিস দেয়, তাহলে সেখানে পাশাপাশি একজন মেয়েও থাকতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তির কোন খাতে নেই নারীর অংশগ্রহণ? ই-কমার্স, এফ কমার্স, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার সেক্টর থেকে শুরু করে অফিস, আদালত সব জায়গাতেই আছে নারীদের বিচরণ। নেতৃস্থানীয় পর্যায়গুলোতেও জায়গা করে নিচ্ছে নারীরা। সবদিক থেকে আমাদের নারীরা অনেক এগিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে তাদের অংশগ্রহণ এখন অন্য যেকোন সময়ে তুলনায় বেশি। এ সংখ্যাটা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার ও স্টেকহোল্ডারদের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সোমবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় গুলশানের লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ উইম্যান ইন টেকনোলজির (বিডাব্লিউআইটি) আয়োজনে বিডাব্লিউআইটির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের পরিচিতি এবং ইন্টারন্যাশনাল উইম্যান ডে উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্য যেকোনো সেক্টরে নারীদের অংশগ্রহণের যে সুযোগ আছে, তাতে তাঁরা আসলে কতটুকু অংশগ্রহণ করতে পেরেছে। সেখানে যেসব সুবিধা আছে সেটা নারীরা কতটুকু কাজে লাগাতে পেরেছে। যতটুকু কাজে লাগাতে পেরেছে, সেটা কি যথেষ্ট? যদি যথেষ্ট না হয়ে থাকে, তাহলে সমস্যাগুলো কোথায়? সমাধানের পথটাই বা কী হতে পারে? এসব বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ছিল ‘ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি’ শীর্ষক এক বিশেষ আলোচনা সভা।
বিডাব্লিউআইটির নব নির্বাচিত কমিটির সহ সভাপতি রুমেসা হোসেইনের সঞ্চালনায় এই আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সম্মানিত অতিথি আলোচক ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি মি. ব্রায়ান শেলার, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ,তরুণ উদ্যোক্তা ও বেসিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিরা জুবেরি হিমিকা এবং সম্মানিত আলোচক ও বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্ণা রায়।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে বা যেকোনো পলিসি মেকিংয়ের জায়গাতে নারীদের অংশগ্রহণকে কীভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানেপ্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যে যাত্রাটা শুরু হয়েছিল সেটি হয়েছিল অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষের নেতৃত্বে। ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইউনিয়নগুলিতে ডিজিটাল ইনফরমেশন সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, একটা ইউনিয়নে যদি কোন ছেলে উদ্যোক্তা কম্পিউটারে ইন্টারনেটনির্ভর সরকারি ডিজিটাল সার্ভিস দেয়, তাহলে সেখানে পাশাপাশি একজন মেয়েও থাকতে হবে।
আইসিটি ডিভিশন সবসময় নারীবন্ধব উল্লেখ করে পলক বলেন, এজন্যই শিপাওয়ারের মতো উদ্যোগের আওতায় প্রায় ১০ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করেছি।এছাড়াও হার পাওয়ারের মাধ্যমে ১২শ নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে সিড মানি দিয়েছি। আইসিটি ডিভিশনের আওতায় যতগুলি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আছে, প্রত্যেক জায়গায় নারীদের জন্য ৩০% কোটা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেখানে নূন্যতম নারীদের প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যে টার্গেট দিয়েছেন, দেশের আইটি সেক্টরে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। সেসাথে ২৯৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ইকনোমিতে নারী এবং পুরুষে সমান সমান অংশগ্রহণ থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, পাঠ্যক্রম থেকে বৈষম্যমূলক চিন্তা দূর করতে গার্হস্থ্য শিক্ষার মতো পাঠ উঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেসাথে বিজ্ঞান শিক্ষায় মেয়েদের চিকিৎসক ছাড়া আন্যান্য পেশায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে আইসিটিকে জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য স্কিলড ডেভেলপমেন্ট ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থাও চালু করার বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছি।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি মি. ব্রায়ান শেলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি মানুষের আগ্রহ ইতিবাচক এবং আমেরিকাতে বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করছে। সম্ভাবনাকে কাজে লাগতে হবে এবং এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কাজে বিডাব্লিউআইটিকে আমরা সহায়তা দেবো।
আমাদের ৩০-৩৫% ফিমেল স্টুডেন্টরা ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। সেখান থেকে ক্যারিয়ারে এসে আমরা পাই ১৫-১৯% নারীকে। অন্যদিকে পলিসি মেকিংয়ের জায়গাটাতে ১% এর চেয়ে কম নারীকে পাওয়া যায়। শুধু আইসিটি সেক্টরে না, যেকোনো সেক্টরেই যদি দেখি, পলিসি মেকিংয়ের জায়গাটাতে নারীদের অবস্থানটা এখনও সেভাবে শক্ত হয়ে উঠেনি। তবে ধীরে ধীরে নারীদের উন্নতি হচ্ছে। কপোরেট সেক্টর, সরকারি-বেসরকারি, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সব জায়গাতেই নারী নেতৃত্ব আসছে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, আমাদের মেয়েরা কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগী এবং প্রতিশ্রুশীল। নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তারা নিজের জায়গা নিজেরাই তৈরি করে যাচ্ছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বেসিস নারীদের আইটিতে ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট নানানভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ যাত্রা সব সময় অব্যাহত থাকবে।
ক্যারিয়ার জীবনে একজন নারীদের বিশেষ গুণ উল্লেখ করে বেসিস প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা যখন কোন কোম্পানিতে নারীদের কলিগ হিসেবে পাই, তাদের মধ্যে কমিটমেন্ট, ডেডিকেশন ও টিমওয়ার্ক এই বিশেষ গুণগুলি আমরা দেখতে পাই। নারীরা সবসময় দায়িত্বশীলতার সাথে সব কাজ করে থাকে। এই শিক্ষাটা তারা পরিবার থেকে পেয়ে থাকে।
আইসিটিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে মূলধারার বিশেষ কিছু দক্ষতা বৃদ্ধি করার উপরে জোর দেন তরুণ উদ্যোক্তা ও বেসিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিরা জুবেরি হিমিকা। তিনি বলেন, একজন নারী ত্রিপলী পড়ার পর কীভাবে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে, বিপিও বা কল সেন্টারে আসবে, তার কোন বিশেষ দক্ষতাটা বৃদ্ধি করতে হবে, কীভাবে বৃদ্ধি করতে হবে, প্রত্যেকটা জার্নি আলাদা। তাই আমার মনে হয় এখনই উপযুক্ত সময়, এই জার্নিগুলিকে আলাদা করা বা উপশাখা করার খুব প্রয়োজন। যখনই উপশাখা তৈরি হয়, তখন কারিকুলামে সেটা খুব কাজে লাগে। তখন লাইফ স্টাইল চেঞ্জগুলা কাজে লাগে। তখন অন্যান্য স্কিলসগুলিও কাজে লাগে। নারীদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে এগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা একটা ফান্ড ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করে তিনি বলেন, একজন নারী উদ্যোক্তার স্ট্রাগলটা এতই আলাদা হয় যে, আপনি তাকে মেইন স্ট্রিমের মধ্যে একই ফরমুলাতে ফেলতে চাইলে, সে কোনভাবে ফান্ড পাবে না। নারীরা যে উদ্যোগটা নিয়ে লড়াই করে, হয় সেটা তার জীবনের অংশ বা সমাজের অনেক বড় অংশ। সে মাঝামাঝি কোন চিন্তা করে না।
বিশ্ব ব্যাংক থেকে লোন পেতে উদ্যোক্তাদের নানান ধরনের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। এ বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া একসাথে সহযোগিতা করলে তাদের জন্য কাজটা সহজ হয় বলে জানান সম্মানিত আলোচক ও বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্ণা রায়।
নবনির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আছিয়া নীলার সঞ্চালনায় দুইপর্বের এই আয়োজনের শুরুতে বক্তব্য দেন বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল।
তিনি বলেন, আমাদের ৩০-৩৫% ফিমেল স্টুডেন্টরা ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। সেখান থেকে ক্যারিয়ারে এসে আমরা পাই ১৫-১৯% নারীকে। অন্যদিকে পলিসি মেকিংয়ের জায়গাটাতে ১% এর চেয়ে কম নারীকে পাওয়া যায়। শুধু আইসিটি সেক্টরে না, যেকোনো সেক্টরেই যদি দেখি, পলিসি মেকিংয়ের জায়গাটাতে নারীদের অবস্থানটা এখনও সেভাবে শক্ত হয়ে উঠেনি। তবে ধীরে ধীরে নারীদের উন্নতি হচ্ছে। কপোরেট সেক্টর, সরকারি-বেসরকারি, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত সব জায়গাতেই নারী নেতৃত্ব আসছে।
নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ হতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিডাব্লিউআইটির নবনির্বাচিত সভাপতি রেজওয়ানা খান। তিনি বলেন, আমরা এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানটি আমাদের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট কিংবদন্তি লুনা শামসুদ্দোহাকে উৎসর্গ করেছি যিনি একজন বাংলাদেশী টেক উদ্যোক্তা ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী অংশগ্রহণ বাড়াতে ২০১০ সালে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলেন বাংলাদেশ উইম্যান ইন টেকনোলজি (বিডাব্লিউআইটি)। সেসাথে প্রযুক্তিতে মেয়েদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে, তাদের ক্ষমতায়ন এবং এগিয়ে যেতে তিনি শেষ দিন পর্যন্ত পদপ্রদর্শক হিসাবে কাজ করেছেন। আমরা তাঁর উত্তরাধিকারী হতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবতী মনে করছি। তাঁর সৃষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের সবক্ষেত্রে সেরা করার চেষ্টা করব।
নবনির্বাচিত এই সভাপতি বলেন, প্রযুক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হবে। আর উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে সমতার সাথে অংশগ্রহণের চেষ্টা বাল্যকাল হতেই শুরু করতে হবে। উৎসাহিত করতে হবে প্রযুক্তি উদ্যোগ এবং উদ্ভাবনকে। বিডব্লিউআইটি চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলা করার জন্য নারী নেতৃত্ব তৈরির উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবো আমরা। আমাদের আইটি ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়া দুটি প্লাটফর্মই ব্যবহার করে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে জন্য আমাদের সরকার ও স্টেকহোল্ডারদের সাপোর্টের প্রয়োজন রয়েছে।
বিডব্লিউআইটির সাধারণ সম্পাদক আছিয়া খালেদা নীলার সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইএসপিএবির সভাপতি মি. এমদাদুল হক, বাক্কোর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন শিপন, বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান প্রমুখেরা
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত কমিটির সহ সভাপতি (একাডেমী) ড. নোভা আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ড. সেলিনা শারমিন, অর্থ সম্পাদক নাসমুস সালেহীন, পরিচালক নাজনীন নাহার, কানিজ ফাতিমা, রিম শামছুদ্দোহা, ফাতেমা আকতার এবং ড. ফারনাজ নারিন নুর প্রমুখ।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ১০৭ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

একজন অকুতোভয় শব্দসৈনিক কল্যাণী ঘোষ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী কল্যাণী ঘোষ। বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বীনাজুরী গ্রামে হলেও ১৯৪৬ সালের ৫ মে তার জন্ম বন্দরনগরীর রহমতগঞ্জের প্রবাল চৌধুরী সড়কের দেওয়ানজী পুকুর লেনে। শৈশব থেকেই পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন তিনি। মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে মা লীলাবতী চৌধুরীর কাছে সঙ্গীত, অভিনয় ও নৃত্যে শিক্ষা লাভ করেন। পরে উচ্চাঙ্গ সং