ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেলো এটুআই
প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২৩, ০৪:০৫
এই টেলিহেলথ সার্ভিসের আওতায় ৯৫ শতাংশ রোগীকে বাড়িতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় এবং বাকি ৫ শতাংশকে হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেন্টার থেকে সেবা প্রাপ্ত ৯৯ শতাংশ রোগী সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং মৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪ শতাংশে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের সবোর্চ্চ স্বীকৃতি জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২৩’ জয়লাভ করেছে এটুআই-এর ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’। কোভিড সময়ে মানুষের হাতের মুঠোয় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ায় এই প্রকল্প এবছর ‘আইসিটি এপ্লিকেশন: বেনেফিটস ইন অল অ্যাসপেক্টস অব লাইফ’ ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্যোগ ও বাস্তবায়নের বড় ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হয়।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের আইসিটি সংক্রান্ত বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদর দপ্তরে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বুধবার (১৫ মার্চ) এই পুরস্কার দেয়া হয়। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর (যুগ্মসচিব) ও ই-গভার্নেন্সের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট মো. ফরহাদ জাহিদ শেখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
করোনা সংকট মোকাবিলায় সারাবিশ্ব যখন হিমশিম খেয়েছে, তখন বাংলাদেশ সরকার নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মহামারির এই সংকট নিরসনে নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-এর উদ্যোগে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শুরু হয় ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’ কার্যক্রম।
এই সেন্টারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের দক্ষ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ, নির্দেশনা ও রেফারেল সেবা দেওয়া হয়। অন্যান্য সেবা যেমন, খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ইত্যাদি সার্ভিসের জন্য সহায়তা দেওয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট নম্বরের (০৯৬৬৬৭৭৭২২২) মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের টেলি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।
এই টেলিহেলথ সার্ভিসের আওতায় ৯৫ শতাংশ রোগীকে বাড়িতে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় এবং বাকি ৫ শতাংশকে হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেন্টার থেকে সেবা প্রাপ্ত ৯৯ শতাংশ রোগী সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং মৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪ শতাংশে। ২০২০ সালের ১৩ জুন চালু হওয়া এই কলসেন্টার ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’ ৭,০৪,৮৯০ জন রোগীকে ১৫,৬১,০৬৮টি টেলিহেলথ পরিষেবা দিয়েছে।
এটুআই কর্তৃক জনগণের দোরগোড়ায় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাস্তবায়িত অসংখ্য উদ্ভাবনী উদ্যোগের মধ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ বিগত বছরগুলোতে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার অর্জন করেছে। উক্ত উদ্যোগগুলো যথাক্রমে ২০১৪ সালে ডিজিটাল সেন্টার; ২০১৫ সালে জাতীয় তথ্য বাতায়ন; ২০১৬ সালে সেবা পদ্ধতি সহজিকরণ-এসপিএস, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনলাইন ছাড়পত্র, শিক্ষক বাতায়ন এবং কৃষকের জানালা; ২০১৭ সালে মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিমেডিসিন প্রকল্প, নাগরিক সেবা উদ্ভাবনে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার ও ই-নথি; ২০১৮ সালে মুক্তপাঠ ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম; ২০১৯ সালে শিক্ষক বাতায়ন ও মোবাইলের মাধ্যমে বয়স যাচাই ও বিবাহ নিবন্ধন প্রকল্প; ২০২০ সালে ই-বিজনেস ক্যাটাগরিতে একশপ এবং ই-এমপ্লয়মেন্ট ক্যাটাগরিতে দক্ষতা, কর্মসংস্থান ও এন্টারপ্রেনারশিপ বিষয়ক সমন্বিত ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ১২ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

একজন অকুতোভয় শব্দসৈনিক কল্যাণী ঘোষ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী কল্যাণী ঘোষ। বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বীনাজুরী গ্রামে হলেও ১৯৪৬ সালের ৫ মে তার জন্ম বন্দরনগরীর রহমতগঞ্জের প্রবাল চৌধুরী সড়কের দেওয়ানজী পুকুর লেনে। শৈশব থেকেই পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন তিনি। মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে মা লীলাবতী চৌধুরীর কাছে সঙ্গীত, অভিনয় ও নৃত্যে শিক্ষা লাভ করেন। পরে উচ্চাঙ্গ সং