দেশের প্রথম নলেজ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলো গোপালগঞ্জে
প্রকাশ: ১৮ মার্চ, ২০২৩, ০৫:৫২
আমাদের এখন থ্রি বাই থ্রি ফরমুলা বাস্তবায়ন করা দরকার। এখন দরকার কো-ক্রিয়েশন, কেইনভেস্টমেন্ট ও কোলাবরেশন। ছাত্র-ছাত্রীদের সফল উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রয়োজন পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার দেশের প্রথম ‘নলেজ পার্ক’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন গোপালগঞ্জ-২ এর সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঋণের পরিবর্তে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মতো রক্তের বন্ধনে ভারত সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ভারতীয় হাই-কমিশনের সহকারী হাই-কমিশনার ইন্দর জিত সাগরকে উদ্দেশ্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আমরা ক্রেডিট চাই না। আমরা ৭১ এর মতো আমাদের এই বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনারা দাঁড় করিয়ে দেবেন। আমাদের নেহেরুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সহযোগিতা করবেন। বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠান গড়তে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের বন্ধুত্ব যেনো কেউ কোনোদিন ফাটল ধরাতে না পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ উদ্ভাবক খুঁজে আনতে কোটি টাকার পুরস্কারের স্মার্ট ক্যাম্পাস ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে আগে যারা বাড়িতে বাড়িতে টিউশনি করতো তারা এখন হলে বা গ্রামে বসে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে সাড়ে দেশের ছয় লাখ আইটি ফ্রিল্যান্সার এক বিলয়ন ডলারের ওপর আয় করছে। আমরা চাই প্রতিবি ছাত্র-ছাত্রী উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে সৃজনশীল মেধাবী স্মার্ট যোদ্ধা হিসেবে নিজেদেরকে তৈরি করবে। স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। সেজন্য সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক, ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার এবং উপজেলা পর্যায়ে ৫৫৫টি জয় ডিসেট এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করিছি।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে অচিরেই জেলার ৫টি উপজেলাতেই জয় ডি-সেট স্থাপন শুরু হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। আরও ১০০ একর জমি কিনে এই ক্যাম্পাসকে স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
পলক বলেন, আমাদের এখন থ্রি বাই থ্রি ফরমুলা বাস্তবায়ন করা দরকার। এখন দরকার কো-ক্রিয়েশন, কেইনভেস্টমেন্ট ও কোলাবরেশন। ছাত্র-ছাত্রীদের সফল উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রয়োজন পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে সরাকারি উদ্যোগে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ১১টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে যেখানে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত হয়েছে আরো ১৭টি পার্ক। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিক্স, সাইবার সিকিউরিটির উচ্চপ্রযুক্তির ৩৩টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইটি শিল্প এর মধ্যে কার্যকর সংযোগ স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি এবং ভৌত অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি তৈরি করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই প্রকল্প গ্রহণ করায় আমার শিক্ষার্থীরা অনেক উপকৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে চার একর জায়গায় দেশের প্রথম ‘নলেজ পার্ক’ স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অনু্ষ্ঠানে ভারতীয় হাই-কমিশনের সহকারী হাই-কমিশনার ইন্দর জিত সাগর আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ১৫ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

একজন অকুতোভয় শব্দসৈনিক কল্যাণী ঘোষ
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী কল্যাণী ঘোষ। বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বীনাজুরী গ্রামে হলেও ১৯৪৬ সালের ৫ মে তার জন্ম বন্দরনগরীর রহমতগঞ্জের প্রবাল চৌধুরী সড়কের দেওয়ানজী পুকুর লেনে। শৈশব থেকেই পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে উঠেছেন তিনি। মাত্র ৫ বছর বয়স থেকে মা লীলাবতী চৌধুরীর কাছে সঙ্গীত, অভিনয় ও নৃত্যে শিক্ষা লাভ করেন। পরে উচ্চাঙ্গ সং