বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে টাইগার আইটি
প্রকাশ: ১৯ মার্চ, ২০২৩, ১১:৪৫
বায়োমেট্রিক সিস্টেম সর্বাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্রুততার সাথে এবং নির্ভুলভাবে মানুষের অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহ খুঁজে বের করতে সক্ষম। AFIS সিস্টেমটি আঙ্গুলের ছাপ শনাক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। অপরদিকে, ABIS সিস্টেমটি বিভিন্ন বায়োমেট্রিক বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে সক্ষমতা রাখে। যেমন, ফেশিয়াল রেকগনিশন, আইরিশ স্ক্যানিং এবং ভয়েস আইডেন্টিফিকেশন।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট রিকগনিশন অ্যালগরিদমের জন্য অত্যাধুনিক এফভিসি-চলমান মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রদর্শক বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড। ইতালির ইউনিভার্সিটি অব বোলোগনার বায়োমেট্রিক সিস্টেম ল্যাবরেটরি থেকে সম্প্রতি তাদের এই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইকরণের জন্য সকল মূল্যায়নে পেটেন্ট ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সট্রাকশন এবং সদৃশ খোঁজার প্রযুক্তি সামগ্রিকভাবে সর্বাধিক নির্ভুল ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি পেয়েছে টাইগার-এফআইসি।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি মার্চ মাস পর্যন্ত FVC-ongoing ৮১৮৭ টি অ্যালগরিদম মূল্যায়ন করেছে, যার মধ্যে Tiger-AFIS প্রথম স্থানে রয়েছে। বেঞ্চমার্কটি FVC দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং এর বায়োমেট্রিক অ্যালগরিদমের স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়ন ডেভেলপারদের অ্যালগরিদমগুলাকেও মূল্যায়ন করে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, টাইগার আইটি-এর স্বয়ংক্রিয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম-TigerAFIS Slapseg III এর নির্ভুলতায় অন্যদের থেকে সেরা এবং তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট অ্যালগরিদম নিয়মিতভাবে বিশ্বের এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। একা রণেই TigerAFIS কে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (এনআইএসটি) প্রযুক্তির বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় কার্যকরী প্রযুক্তি হিসাবেও বেঞ্চমার্ক করা হয়েছে।
এছাড়াও Tiger IT-এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এক্সট্রাকশন এবং ম্যাচিং খোঁজার প্রযুক্তির অ্যালগরিদম NIST-এর চলমান Minutiae Interoperability Exchange (MINEX) পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। ২০১৮ সালে, কোম্পানিটি NIST দ্বারা প্রকাশিত আইরিস এক্সচেঞ্জ (IREX) IX পার্ট ওয়ান, আইরিস স্বীকৃতি মূল্যায়নের পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। টাইগার আইটি বিশ্বের অল্প কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে অন্যতম একটি কোম্পানি, যাদের ABIS সিস্টেমের ফেসিয়াল এবং আইরিশ শনাক্তকরণের অ্যালগরিদমকে এনআইএসটি তার বেঞ্চমার্ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী নাসির ইউ আহমেদ বলেছেন, আমরা আমাদের বিশ্বখ্যাত বায়োমেট্রিক সল্যুশনের সাথে অসংখ্য শিল্পকে নতুন আকার দিয়েছি এবং আমাদের নিরলস গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা উভয় ক্ষেত্রেই বিপ্লব ঘটাতে পারব। সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থাগুলি তাদের বিকশিত পরিচয় ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনিয়তাসহ টাইগার আইটিতে, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়ের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতিই আমাদের অসাধারণ সাফল্যের চালিকা শক্তি।
অপরদিকে বায়োমেট্রিক সিস্টেম এন্ড ডেটাবেজ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট শোয়াইব রেজা বলেছেন, আমি এফিস সিস্টেমের ইমপ্লিমেন্টেশনে প্রতিটি কাস্টমারের সাথে খুব কাছ থেকে কাজ করেছি। আমি একজন বাংলাদেশী হিসেবে এই প্রজেক্ট এর সাথে যুক্ত থাকতে পেরে এবং বিশ্বের দরবারে টাইগার এটিকে তুলে ধরতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৬৮ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।