টিকটকের নতুন কমিউনিটি গাইডলাইনে থাকছে যেসব শর্ত
প্রকাশ: ২৩ মার্চ, ২০২৩, ০২:০২
টিকটকের নতুন কমিউনিটি গাইডলাইন বা নির্দেশিকাগুলো ২১শে এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। সেই সাথে আগামী মাসগুলোতে প্ল্যাটফর্মটি তাদের মডারেটরদের অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে, যাতে এই আপডেট হওয়া নিয়ম এবং মানগুলি কার্যকরভাবে প্রয়োগ শুরু হয়।
নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে রিফ্রেশড কমিউনিটি গাইডলাইন ঘোষণা করেছে টিকটক। টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন হল টিকটক কমিউনিটির অংশ হওয়ার মানদণ্ড যা এই প্ল্যাটফর্মের প্রত্যেকের প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য প্রযোজ্য। এই ঘোষণার অংশ হিসেবে, প্ল্যাটফর্মটি তার কমিউনিটি নীতিমালাও প্রবর্তন করছে।
টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইনের সর্বোপরি আপডেটগুলো জানাতে, প্ল্যাটফর্মটি সারা বিশ্বের ১০০টিরও বেশি সংস্থা যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা নিরোধন সংস্থা আর আঞ্চলিকভাবে সেইফটি এডভাইসরি কাউন্সিল ও এসমেক্স এবং তাদের কমিউনিটির সদস্যদের সাথে পরামর্শ করেছে।
এআই প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি বা পরিবর্তিত সিন্থেটিক মিডিয়ার সাথে টিকটক কীভাবে আচরণ করে সে সম্পর্কে প্ল্যাটফর্মটি তাদের নিয়মগুলিকে আপডেট করছে। টিকটক তাদের বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা এবং আচরণ সম্পর্কিত নীতিতে 'ট্রাইব’নামক একটি সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্য যুক্ত করছে। নাগরিক এবং নির্বাচনী অখণ্ডতা রক্ষার্থে টিকটক তাদের কাজ সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য প্রদান করবে, যেখানে সরকার, রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলের অ্যাকাউন্টগুলির প্রতি প্ল্যাটফর্মটির দৃষ্টিভঙ্গিও বিবেচিত হবে।
টিকটকের নতুন কমিউনিটি গাইডলাইন বা নির্দেশিকাগুলো ২১শে এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। সেই সাথে আগামী মাসগুলোতে প্ল্যাটফর্মটি তাদের মডারেটরদের অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করবে, যাতে এই আপডেট হওয়া নিয়ম এবং মানগুলি কার্যকরভাবে প্রয়োগ শুরু হয়।
পূর্ববর্তী প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে, টিকটক তাদের নিয়ম এবং মান সম্পর্কিত সবকিছু একটি জায়গায় নিয়ে এসেছে, যাতে নির্মাতা থেকে গবেষক পর্যন্ত সবার যা প্রয়োজন তা পেতে পারে। যেমন নিয়ম লঙ্ঘন হলে সংজ্ঞা এবং প্ল্যাটফর্মটি কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে সেটির ব্যাখ্যা থাকবে। টিকটক তাদের মডারেশন বা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির জন্য চারটি স্তম্ভও স্থাপন করেছে। সেগুলি হলো-
১. লঙ্ঘনমূলক কনটেন্ট অপসারণ।
২. বয়স-সীমা অনুযায়ী কনটেন্ট যেটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (১৮ বছর বা তার বেশি)। তবে, কনটেন্ট অবশ্যই টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুযায়ী হতে হবে।
৩. যে কনটেন্ট বিস্তৃত দর্শকদের জন্য অনুপযুক্ত, সেটি ‘ফর ইউ’ ফিডে রিকমেন্ডের জন্য অযোগ্য করা।
৪. টিকটকের কমিউনিটিকে তাদের অভিজ্ঞতার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তথ্য সরঞ্জাম এবং উপায়গুলোকে শক্তিশালী করা।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৮৩ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।