বিপিও শিল্পের বিভাগীয় সম্মেলনের যাত্রা শুরু
প্রকাশ: ২৫ মে, ২০২৩, ১২:২৯
সম্ভাবনাময় বিপিও শিল্প এখন শুধুমাত্র ঢাকাকেন্দ্রিক নয় বরং ঢাকার বাইরেও এর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঢাকার বাইরে বিপিও শিল্পের সম্প্রসারণ করতে নিরলস কাজ করছে বাক্কো। তারই উদ্যোগ এই বিভাগীয় বিপিও সামিট ২০২৩।
সিংড়া, নাটোর থেকে যাত্রা শুরু হলো ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’-এর বিভাগীয় আসর। পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত বিপিও শিল্পের সবচেয়ে বড় এই সম্মেলন মে-জুলাই মাসব্যাপী পর্যায়ক্রমে দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজশাহী বিভাগের কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইন’-এর পর বুধবার (২৪ মে) সিংড়া, নাটোরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘বিভাগীয় বিপিও সামিট ২০২৩’-এর-যাত্রা শুরু হয়।
দেশের বিপিও/আউটসোর্সিং শিল্পের জন্য নিবেদিত একক ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সংস্থা ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো)’-এর উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ‘বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল’-এর সার্বিক সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে।
বিপিও সামিটের বিভাগীয় পর্যায়টি দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে প্রথম পর্ব (ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইন) অনুষ্ঠিত হয় দুই ধাপে। যথা-ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং বিষয়ক কর্মশালা, সিভি সংগ্রহ এবং চাকরি মেলা। এরপর দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয় তিন ধাপে। যথা- উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও পলিসি ডায়ালগ সেশন, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন, চাকরি মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রথম পর্বের অংশ হিসেবে রাজশাহী বিভাগে ‘ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইন’ উদ্যাপিত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, রাজশাহী কলেজ এবং গোল-ই-আফরোজ সরকারী কলেজে। প্রথম ধাপের ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং বিষয়ক কর্মশালায় বিপিও শিল্পের সম্ভাবনাময় দিকগুলো শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরে এ খাতে আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে উৎসাহ যোগানো হয়।
অন্যদিকে, চাকরি মেলার মধ্য দিয়ে বিপিও শিল্পে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের সিভি সংগ্রহ করা হয়। যোগ্য প্রার্থীদের জন্য ছিল নিয়োগেরও ব্যবস্থা। এই ক্যাম্পেইন বিপিও শিল্পে দক্ষ জনবল তৈরিতে অপরিসীম ভূমিকা রাখবে বলেই বাক্কোর বিশ্বাস।
দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় সিংড়া, নাটোরের উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘বিপিও শিল্পের বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যৎ’ প্রসঙ্গে প্রবন্ধ উপস্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সুধীজনের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাক্কো সাধারণ সম্পাদক জনাব তৌহিদ হোসেন।
বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, সম্ভাবনাময় বিপিও শিল্প এখন শুধুমাত্র ঢাকাকেন্দ্রিক নয় বরং ঢাকার বাইরেও এর ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঢাকার বাইরে বিপিও শিল্পের সম্প্রসারণ করতে নিরলস কাজ করছে বাক্কো। তারই উদ্যোগ এই বিভাগীয় বিপিও সামিট ২০২৩।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, অধিক জনসংখ্যা কখনো একটি দেশের বোঝা নয়, দেশের জনসংখ্যা সে দেশের সম্পদে পরিণত হয়। যখন তারা বিভিন্ন কর্মে দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হয়। বিপিও তথা আউটসোর্সিং শিল্পে যেকেউ সহজেই তার ক্যারিয়ার গড়তে পারে এবং সফল হতে পারে। সরকার বর্তমানে দেশে শিক্ষিত জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রকল্প ও অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের বিপিও শিল্পের সম্প্রসারণে সরকার সবসময় বাক্কোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এরপর তিনি বিপিও শিল্পের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং সিংড়া, নাটোর থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে “বিপিও সামিট বাংলাদেশের ২০২৩” এর শুভসূচনা করায় বাক্কোকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন আবু নাছের ভূঁঞা, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. সাইফুর রহমান, পিপিএম, পুলিশ সুপার, নাটোর; ইকবাল বাহার জাহিদ, প্রেসিডেন্ট, ফাউন্ডার ও মেন্টর, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন; নাজনীন নাহার, সভাপতি, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)। বাক্কো কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল হক; পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুসনাদ ই আহমেদ, ডা. তানজিবা রহমান, ‘বাক্কো লোকাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট’ উপকমিটির চেয়ারম্যান মির্ধা মো. মাহফুজ-উল-হক চয়ন।
তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন ও চাকরি মেলা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইতি টানা হয় বিভাগীয় আয়োজনের।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৫২ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।