বিশেষ শিশুদের উপকারে অনুদান দিল হুয়াওয়ে
প্রকাশ: ০১:৪৪ মিঃ, মে ২৬, ২০১৯
বিশেষ শিশুদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে অনুদান দিয়েছে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।
বিশেষ শিশুদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে অনুদান দিয়েছে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। অনুদান হিসেবে হুয়াওয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দিয়েছে। আজ রাজধানীর মহাখালী নিউ ডিওএইচএস-এ অবস্থিত পিএফডিএ-এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষের কাছে এসব যন্ত্রাংশ হস্তান্তর করেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং জেংজুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ড্যানি এবং হুয়াওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার কর্তৃপক্ষকে আল্ট্রা সাউন্ড থেরাপি (ইএসটি), আল্ট্রা রেড রেডিয়েশন (আইআরআর), শর্ট ওয়েভ ডায়াথারমি (এসডব্লিউডি), ইলেকট্রিক্যাল মাসল স্টিমুলেটর (ইএমএস), বেড ও অন্যান্য যন্ত্রাংশসহ ট্রাকশন মেশিন (পেলভিক অ্যান্ড কার্ভিক্যাল ট্র্যাকশন) দেওয়া হয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ ওই ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও এর শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য সেবা দিতে সহায়তা করবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আচার-ব্যবহারের ধরণ এবং অস্বাভাবিক ব্যবহারের কারণ জানতে সহায়তা করবে সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘বিশেষ শিশুদের সহায়তার জন্য দেশের সরকারি ও বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করা উচিত। এই কাজে উৎসাহ দিতে আজকের এ আয়োজন তেমনি একটি উদাহারণ। এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে যে, যদি তাদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয় তাহলে তারা তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে পারে।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং জেংজুন বলেন, ‘আমরা স্থানীয় কমিউনিটির উন্নয়নের প্রতি যত্নশীল। বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় ও প্রয়োজনে হুয়াওয়ের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই কাজে এগিয়ে এসেছে। ‘বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য’ শীর্ষক একটি চ্যারিটি প্রোগ্রামের আওতায় যারা অবহেলিত তাদের সহায়তা করা হয়। আমাদের সাথে আরও সহযোগীরা আছেন, যারা সমাজের জন্য একই উদ্দেশ্যে কাজ করেন। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে আমরা এই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব বহন করবো।’
পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ড্যানি বলেন, ‘আমরা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাধীন ও বাস্তবসম্মত জীবনধারা তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। এই মহৎ কাজে সহায়তা করার জন্য হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে আন্তরিক ধন্যবাদ। বিশেষ শিশুদের সহায়তায় ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।’
হুায়াওয়ে বিশ্বাস করে, সামাজিক দায়বদ্ধ কার্যক্রম মানুষের বিশ্বাস ও সম্মান অর্জনের শক্তিশালী উপাদান হতে পারে। এ ধরনের কার্যক্রম অবশ্যই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে।
হুয়াওয়ে সম্পর্কে:
হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৮০ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল শেষে হুয়াওয়ের আয় প্রথমবারের মতো ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে যা আগের বছরের চেয়ে ১৯.৫% বেশি। এছাড়া গবেষণা ও উন্নয়নে (আরএন্ডডি) বিনিয়োগ মোট বার্ষিক রাজস্বের ১৪.১%, যার ফলেই পণ্য ও সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে শীর্ষস্থান নিশ্চিত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ফাইভজি’র ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে বিশ্বব্যাপী ৪০টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং ইতোমধ্যে ৭০ হাজার বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছে। প্রযুক্তিগত সক্ষমতায় হুয়াওয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যান্যদের চেয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে।
আরও জানতে:
http://www.linkedin.com/company/Huawei
http://www.facebook.com/Huawei
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৩৬৬০ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।