দাম বাড়বে তথ্যপ্রযুক্তি পন্যের

প্রকাশ: ১২:৫৬ মিঃ, জুন ১৮, ২০১৯
Card image cap
ছবি:

২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানী পর্যায়ে ৫% আগাম কর আরোপ করা হয়েছে, যা কার্যকরী হলে দাম বাড়বে আমদানীকৃত তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের ।

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিনিধি

২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানী পর্যায়ে ৫% আগাম কর আরোপ করা হয়েছে, যা কার্যকরী হলে দাম বাড়বে আমদানীকৃত তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের । যার প্রভাব সরাসরি পড়বে  ক্রেতার উপর। গত ১৩ জুন ২০১৯ তারিখে জাতীয় সংসদে মাননীয় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রথম বারের মত বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি পন্য আমদানীর উপর বেশ কটি বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো এই ৫% আগাম কর,এতে করে কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং সংশ্লিষ্ট যাবতীয় হার্ডওয়্যার সামগ্রীর উপর অতিরিক্ত করভার পন্যে মূল্য বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন এই ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গ, বর্তমানে বাংলাদেশ  ডিজিটাল রূপান্তরের পথে যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি পন্যের চাহিদা এবং ব্যবহার ক্রমবর্ধমান, এমতাবস্তায় পন্যের মূল্য বৃদ্ধি এই এগিয়ে যাওয়ার গতিকে ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ঠরা। এছাড়াও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ আমদানী পরবর্তী পর্যায়ে সরবরাহ বা যেকোন ভাবে সরবরাহ বা বিক্রির উপর মুসকের হার ৫% হতে উন্নীত করে ৭.৫% করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

এই প্রস্তাবনা কার্যকরী হতে দেশের হার্ডওয়্যার শিল্পের এই উন্নয়নের গতিকে ব্যাহত করবে বলে মনে করে কম্পিউটার ব্যবসায়ী সংগঠন বিসিএসের কর্মকর্তা সদস্যবৃন্দ। এই প্রসংগে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সভাপতি শহীদ মুনীর বলেন- বাজেট পেশ হবার পূর্বে আমরা আমাদের সমিতির পক্ষ হতে সরকারের কাজে এখাতের উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু  প্রস্তাবনা সুপারিশ আকারে উপস্থাপন করেছিলাম যারমধ্যে বেশ কিছু প্রস্তারনার ইতিবাচক প্রতিফলন আমরা বাজেটে দেখেছি সেজন্য আমরা কৃর্তজ্ঞ বাংলাদেশ সরকারের কাছে। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে তথ্যপ্রযুক্তি পন্যের গুরুত্ব অপরিসীম। সফটওয়্যার সহ সকল তথ্যপ্রযুক্তি সেবা প্রদানের মাধ্যম হলো হার্ডওয়্যার।তাই এ পন্য ব্যবহারের হার ক্রমবর্ধমান। এক্ষেএে সেবার কোড ং ০৩৭.০০ এ মুসকের হার ৫ হতে ৭.৫ এ উন্নীত হলে তা বিক্রির উপর  সরাসরি প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া সারাবিশ্বে এখন ছোট ছোট মনিটর বানানো বন্ধই করে দিয়েছে বলতে গেলে সেখানে কেবল ২২” পর্যন্ত মুসক অব্যহতি না করে তা ২৪” উন্নীত করলে ভালো হতো ,কারন নামিদামী প্রতিষ্ঠনগুলো এখন আর ২২” নিচে মনিটর প্রস্তুত করছে না। তাই আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাবিত বাজেটের সংশোধনী প্রত্যাশা করি । এছাড়াও আমরা প্রস্তাবনায় বলেছিলাম যে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবা (সেবা কোড ১০৯৯.১০) এর সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যারকে অন্তভূক্তিকরনের,আশা করছি এই বিষয়গুলো সরকার বিবেচনা করবেন।

বাংলাদেশে বর্তমানে রফতানী আয় বৃদ্ধির এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সম্ভাবনাময় খাত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি,ধারনা করা হয় দেশে রফতানী আয়ে একমাএ তথ্যপ্রযুক্তি খাতই পারবে গার্মেন্টস ইন্ড্রাষ্ট্রিকে টপকে যেতে। তাই এখাতে সরকারের মনোযোগ অনেক বেশী এছাড়াও রয়েছে এসডিজির লক্ষ্য অর্জন ,সব মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গুরুত্ব অগ্রাধিকার ভিওিতে বিবেচিত হচ্ছে সর্বএ। বাজেটেও এর প্রতিফলন হয়েছে।

গত দুই অর্থবছরের ও এখাতে অর্থ বরাদ্দের পরিমান ছিল তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য খাতের তুলনায় বেশী । এবারের বাজেটের বরাদ্দ  গতবারের বাজেট হতে ২১৭৫ কোটি টাকা বেশী।যা এ খাতের উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে। এক্ষেএে দক্ষ জনবল তৈরী এবং ভৈাত অবকাঠামোগত উন্নয়ন অগ্রাধিকার পাবে বলে বিশ্বাস করেন সংবাদ সম্মেলনে আগত বক্তারা।

এছাড়া এবারের বাজেটে নতুন সংযোগিত হয়েছে নতুন উদ্দোক্তা উন্নয়নখাত। এখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। এছাড়াও ৫% রেগুলেটরি ডিউটি আরোপিত হয়েছে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের উপর ৭.৪% ভ্যাট আরোপিত হয়েছে ডিজিটাল বিজনেস এর উপর। বলবত রয়েছে আইটি ই এস সেবার ভ্যাটের হার (৫%), কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের উপর আরোপিত ভ্যাট, এবং ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশনের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক সংযোগের উপর আরোপিত ভ্যাট।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৩৫৯৭ বার