টেক মাহেন্দ্রা বাংলাদেশে ব্যবসাকে গতিশীল করতে ব্যাংকিং, পরিবহন ও নাগরিক পরিষেবা ডিজিটালে ফোকাস করছে
প্রকাশ: ০৪:১২ মিঃ, জুলাই ২৫, ২০১৯বিশ্বখ্যাত ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন কনসাল্টিং এবং বিজনেসরি-ইঞ্জিনিয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেক মাহেন্দ্রা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে ডিজিটাইলজড করার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্বখ্যাত ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন কনসাল্টিং এবং বিজনেসরি-ইঞ্জিনিয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেক মাহেন্দ্রা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে ডিজিটাইলজড করার বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছে।
কোম্পানিটি বলছে, বাংলাদেশে ব্যবসাকে গতিশীল করতে ব্যাংকিং, পরিবহন ও নাগরিক পরিষেবা খাতে ডিজিটাল কার্যক্রম গ্রহণে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য তারা বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে কাজ করবে।
টেক মাহেন্দ্রার লক্ষ্য এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনাকে আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়া যাতে নতুন সুযোগ তৈরি হয়। তাই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে উদ্ভাবনী ও পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে ব্যবসার সুযোগ আরও বৃদ্ধি করায় ভূমিকা রাখতে চায়।
ব্যাংকিং খাতে টেক মাহেন্দ্রা মূলত ব্যাংকিং, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট এবং নিরাপত্তাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। সেই লক্ষ্যে টেক মাহেন্দ্র বড় ব্যাংকগুলোকে ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে নজর দিচ্ছে, যাতে দেশ ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে ধাবিত হতে পারে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় নদীপথে অনেক পণ্য আনা-নেওয়া করতে হয়। সেক্ষেত্রে বন্দরগুলোর আধুনিকায়ন এবং ডিজিটালাইজেশনের আরেকটি বড় জায়গা হতে পারে। সেখানেও পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করে অঞ্চলটিকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। যেখানেও কাজ করতে চায় টেক মাহেন্দ্রা।
এছাড়াও টেক মাহেন্দ্রার লক্ষ্য নাগরিক পরিষেবা নিয়ে কাজ করা। সেক্ষেত্রে টেক মাহেন্দ্রার লক্ষ্য রয়েছে, বাংলাদেশে নাগরিক পরিষেবাগুলোকে আরও আধুনিকায়ন করে নাগরিকদের জীবনযাপনকে সহজ করা। এর মাধ্যমে শহরকে স্মার্ট করে আরও নাগরিক বান্ধব এবং টেকসই করতে ফোকাস করবে টেক মাহেন্দ্রা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সরকারের যে কয়েকটি খাত এখন প্রাধান্য পাচ্ছে তার অন্যতম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমরা খাতটিতে যেমন বেশি বিনিযোগ করছি, তেমনি আবার স্থানীয় প্রতিভাগুলোকে খুঁজে বের করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। নাগরিক সেবা আরও সহজ করা এবং খাতটিতে আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি এটা জেনে আনন্দিত যে, বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেক মাহেন্দ্রা আমাদের সহযোগিতা করতে চায় এবং তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশনকে এগিয়ে নিতে আমাদের অংশীদার হতে চায়।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক দু'দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমরা উভয় মিলেই অর্থনীতির জন্য আরও মানোন্নয়ন করতে উন্মুখ। আমরা বাংলাদেশের ডিজটালাইজেশনে সহায়তা করতে চাই।’
টেক মাহেন্দ্রার প্রেসিডেন্ট, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও বিজনেস হেড এপিএসি সুজিত বক্সী বলেন, ‘বাংলাদেশ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমরা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি দেখেছি, এখানকার লিডিং এন্টারপ্রাইজ এবং ডিজিটাল টেকনোলজির প্রবৃদ্ধি আমাদের আকর্ষণ করেছে। টেক মাহেন্দ্রা ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। স্থানীয় প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনকে বাস্তব করতে চাই।’
টেক মাহেন্দ্রা বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল সেবাগুলো অফার করছে। যার মধ্যে ক্লায়েন্ট হিসেবে রয়েছে টেলিকম এবং বিএফএসআই (ব্যাংকিং, ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস এবং ইনসুরেন্স)। এর সেবা বাড়ানোর একটা অংশ হিসেবে টেক মাহেন্দ্রা ফোকাস করছে ডিজিটাল রূপান্তর প্রকল্পে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের সরকারি সেবার পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং শিল্পকারখানাতেও ফোকাস করছে।
টেকএমনেক্সট (TechMNxt) চার্টার-এর অংশ হিসেবে টেক মাহেন্দ্রার লক্ষ্য বর্তমান সময়ের প্রযুক্তি নিয়ে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা। এসব প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে ব্লকচেইন, ফাইভজি-ভবিষ্যতের টেলিকম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, অটোমেশন, রোবটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংকস বা আইওটি। এসব প্রযুক্তি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষ উপলব্ধি করতে শুরু করেছে এবং চাহিদা বাড়ছে।
সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৩৪১৬ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইকুইপমেন্টে ভ্যাট, ট্যাক্সের করবোঝা নামাতে হবে
সময়ের পালা-বদলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।