আগামী সভ্যতার ভিত্তি হবে ডিজিটাল সংযুক্তি - মোস্তাফা জব্বার
প্রকাশঃ ১২:০৭ মিঃ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী সভ্যতার ভিত্তি হবে ডিজিটাল সংযুক্তি। ইন্টারনেট সুপারহাইওয়ে হচ্ছে ডিজিটাল সংযুক্তির ভিত্তি। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল সংযুক্তির এই মহাসড়ক নির্মাণের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিটিসিএলসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্ব বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্ত্রী ডাটা ব্যবস্থাপনার অফুরন্ত সুযোগ কাজে লাগাতে বিটিসিএলকে আরও দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ফিক্স ব্রডব্যান্ড ফাইভজি চালুর বিষয়ে বিটিসিএলকে প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় টেলিযোগাযোগ ভবনে বিটিসিএল এর চীফ জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলন উপলক্ষে আায়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্ত্রী বলেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানি হিসেবে বিটিসিএল কে জনগণের স্বার্থে, জনগণের প্রয়োজনে এবং কল্যাণে কাজ করতে হবে। বিটিসিএল এর বিদ্যমান বিশাল অবকাঠামো ও সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, জনগণের সম্পদ অব্যবহৃত রাখা কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ইতোমধ্যে অচল অনেক প্রযুক্তি সচল করে বিটিসিএল কে গতিশীল করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানকে কাজের মাধ্যমে অব্যবহৃত সম্পদ কাজে লাগানো প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের নৈতিক দায়িত্ব। বিটিসিএলে কর্মরত মেধাবীদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সকলের নিরন্তর প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে বিটিসিএল ও ডাকঘর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সংযুক্তিতে অর্জিত সফলতা প্রমাণ করে ইচ্ছা করলেই আমরা পারি। তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিষ্ঠান এবং দেশ আমাদের সবার। অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করানৈতিক দায়িত্ব।
মন্ত্রী প্রযুক্তির রূপান্তরিত হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। তিনি চীফ জেনারেল ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পুণপ্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে জেলা ও বিভাগে ফাইভ জিচালু হবে। বিটিসিএলকে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইভ জি পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
এর আগে গত বছরের ৭ আগস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এর নির্দেশে বিটিসিএল থকেে বিটিসিএলে মাসিক ১৫০ টাকায় যত খুশি মিনিট কল করা এবং বিটিসিএল থকেে অন্য যেকোনাে অপারেটরে মাত্র ৫২ পয়সা মিনিট কলচার্জ নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি বিটিসিএল এর এডিএসএল ও জিপন সার্ভিসের চার্জ হ্রাস, ঘরে বসে অনলাইনে টেলিফোন বিল ও সংযোগ প্রদানের ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণের পর বিটিসিএল এর অচল লাইন সচল হতে শুরু করে এবং নতুন নতুন টেলিফোন সংযোগ স্থাপিত হচ্ছে।এরই ধারাবাহিকতায় জনগণ যথাযথ সেবা পাচ্ছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বিটিসিএলে ফিরে আসে প্রানচঞ্চলতা।
অনুষ্ঠানে বিটিসিএল এর তরুণ উদ্ভাবকদের একটি উদ্ভাবন মন্ত্রীকে প্রদর্শন করা হয়। মন্ত্রী উদ্ভাবকের ধন্যবাদ জানান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব নূর-উরু–রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিসিএলের এমডি মো: রফিকুল মতিন বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদটি পঠিত হয়েছেঃ ১৭৩৪ বার
সম্পর্কিত পোস্ট
মুখোমুখি

ডিজিটাল নিরাপত্তায় দক্ষতা আবশ্যক: মোস্তাফা জব্বার
আইন শৃ্ঙ্খলা বাহিনীর ডিজিটাল নিরাপত্তা সেবাদাতা সদস্যের সংখ্যা অপ্রতুল। নিরাপদ ইন্টারনেট থেকে শুরু করে ডিজিটাল নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আরও দক্ষতা প্রয়োজন।
ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত স্মার্ট ডিভাইস আর ইন্টারনেট ভোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। সাথে বাড়ছে ডিজিটাল অপরাধের সংখ্যাও।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) আয়োজিত ‘সে