শনিবার

ঢাকা, ১৮ মে ২০২৪

সর্বশেষ


খবর

বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস-২০২৩

‘ই-বর্জ্যের ঝুঁকি হতে পরিবেশ রক্ষায় সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান’

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, রাত ৮:৫০

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গণসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতকারীদের বা বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে। সেই সাথে ই-বর্জ্যের ঝুঁকি হতে পরিবেশ রক্ষায় আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

পুনর্ব্যবহারযোগ্য ই-বর্জ্যকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করার জন্য সঠিক পদ্ধতিতে ই-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সচেতন করতে ‘বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে  এক সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গণসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতকারীদের বা বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই বিষয়ে দায়িত্ব নিতে হবে। সেই সাথে ই-বর্জ্যের ঝুঁকি হতে পরিবেশ রক্ষায় আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ), জেআর রিসাইকিলিং সলিউশনস লিমিটেডে ও এনএইচ এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) ও বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় দেশে প্রথমবারের মতো ‌‌‌‌‘বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবস-২০২৩’  উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এবছর দিবসটি মূল প্রতিপাদ্য হলো, ‘রিসাইকেল এনিথিং উইথ এ প্লাগ, ব্যাটারি অ্যান্ড ক্যাবল’।

বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহারের সভাপতিত্বে সমাবেশে সন্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত  ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের ডীন এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আখতার হোসেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহফুজা পারভীন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের সহ-প্রধান অধ্যাপক শেখ রাশেদ হায়দার নূরি, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং জেআর রিসাইকেলিং সল্যুশনের জেনারেল ম্যানেজার মঞ্জুর হাসান, এনএইচ এন্টারপ্রাইজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রমুখ।

সমাবেশে দেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গণসচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা আরও বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। এই যাত্রাপথে প্রযুক্তিপণ্যের ব্যবহার ক্রমবর্ধমান বিশেষ করে স্মার্টফোন , কম্পিউটার এবং গৃহস্থালী ইলেট্রনিক পণ্য। আর এই পণ্য হতে বছরে ৩০ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য তৈরি হয়। অথচ সঠিক পদ্ধতিতে এই ই-বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা করতে পারলে এই ই-বর্জ্যই হতে পারে আমাদের মূল্যবান সম্পদ। এবং এই সম্পদের বাজার আয়তন প্রায় ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যা কেবল সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আমরা দখল করতে পারিছি না। তাই প্রযুক্তিপণ্য বা ডিজিটাল পণ্যের ব্যবহারে সৃষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্মার্ট হওয়ার সময় এখনই।


বিশ্ব ই-বর্জ্য দিবসের সমাবেশের বক্তাদের বক্তব্যে বেশকিছু দাবি উঠে আসে। সেগুলো হলো-

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক নীতিমালা মাধ্যমে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। ই-বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করার বিষয়টিতে মনোযোগী হতে হবে এবং এক্ষেত্রে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব খাতকেই এগিয়ে আসতে হবে এবং একসঙ্গে কাজ করতে হবে।  ই-বর্জ্য কীভাবে সৃষ্টি হয় এবং তার ক্ষতিকর দিকগুলো এবং কীভাবে এর ব্যবস্থাপনা করা যায় সেই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।  ই-বর্জ্য সংক্রান্ত পরিবেশ আইনগুলোর প্রায়োগিক বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পরীক্ষামূলকভাবে ই-বর্জ্য রিসাইক্লিং প্রকল্প চালু করতে হবে।

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও আইন পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ই-পণ্য বিক্রিতে ক্রেতার বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিতে তাগিদ থাকতে হবে। ই-পণ্য বিক্রেতাদের পণ্য ফেরত প্রক্রিয়াকে আরো জনপ্রিয় ও প্রচারণামূলক করতে হবে। স্মার্ট ডিভাইস বিক্রেতাদের নিজেদের পণ্য লাইফসাইকেলের মাধ্যমে ফেরত নিতে হবে। ডিজিটাল পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিতে জিজ্ঞাসা থাকতে হবে।

বক্তব্যের শেষে সমাবেশে অংশগ্রহণীকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে র‌্যালি শুরু করে। সবাই ই-বর্জ্য-বিষয়ক বিভিন্ন  প্লে-কার্ড, ফেস্টুন হাতে নিয়ে ‘সম্পদ হবে ই-বর্জ, আমরাই করবো এই কার্য‘ স্লোগান দিতে দিতে র‌্যালিটি শেষ হয় দোয়েল চত্বরে গিয়ে।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ৩৮৮ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর