সোমবার

ঢাকা, ২০ মে ২০২৪

সর্বশেষ


খবর

স্মার্ট বেসিস গড়ে তুলতে ‘টিম স্মার্ট’-এর হয়ে নির্বাচন করছেন লিয়াকত হোসাইন

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, সকাল ৯:২২

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

আমি আমার দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবাপণ্য বানানোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বেসিসের সকল সদস্যদের সাথে নিয়ে তাদের তৈরি তথ্যপ্রযুক্তিপণ্যগুলোকে সারা দেশসহ বিশ্বের ক্রেতাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের অন্যতম বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত হোসাইন।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং বেসিসকে স্মার্ট করার লক্ষ্যে মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলের নেতৃত্বে ‘টিম স্মার্ট’-এর  সদস্য হিসেবে এবারের বেসিসের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন তিনি।

দীর্ঘ দুই যুগ যাবত একনিষ্ঠ ও আত্মনিবেদিতভাবে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করে আসছেন লিয়াকত হোসাইন। কর্ম জীবনের শুরুতে ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং ওরাকল ট্রেইনার হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে ওরাকল ইউনিভার্সিটিতে ফ্যাকাল্টি হিসেবে দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিয়েছেন। সেসঙ্গে ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার থেকে বিসনেস কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন। এর সাথে ওরাকল ৮, ৮আই, ৯আই, ১০জি, ১১জিসহ সবমিলে ২০টি ভেন্ডর সার্টিফিকেশন সম্পন্ন করেছেন।

>> আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা সরবরাহের কেন্দ্রবিন্দু হবে স্মার্ট বেসিস

ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে অফলাইন ও অনলাইনে তথ্যপ্রযুক্তি ও নেতৃত্ব-বিষয়ক বিভিন্ন সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণে  অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে নিজেকে প্রস্তুত  করে প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেড। বর্তমানে তিনি ৪টি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।

বেসিসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহু বছরের। বেসিস তাঁর কাছে একটি গভীর অনুভূতির নাম। প্রাণের সংগঠন বেসিসের জন্য তিনি অনেক আগে থেকেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কাজ করে আসছেন। নিজের ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বেসিসের সদস্যদের সার্বিক উন্নয়ন সম্পর্কিত কার্যক্রম এবং সামাজিক সেবামূলক কাজ দীর্ঘদিন যাবত নিরলসভাবে করে আসছেন এই  তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা।

এ প্রসঙ্গে লিয়াকত হোসাইন বলেন, বেসিসের কোন কার্যনির্বাহী পরিষদে না থেকেও আমি বিগত দিনগুলোতে সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি ও বেসিসের সদস্যদের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার চেষ্টা করেছি। ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আমার ভালবাসা ও দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এসব কাজ করেছি। ২০১৭ সালে আমি ‘বেসিস মেম্বার ভয়েজ’ নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করেছিলাম, যেখানে বেসিস সদস্যরা তাদের দাবি-দাওয়া, চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরতে পারে। বেসিস অ্যাডভাইসরি স্টিয়ারিং কমিটির মেম্বার হিসেবেও আমি কাজ করে আসছি।

তিনি বেসিসের  স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এইচআর ডেভেলপমেন্টের কো-চেয়্যারম্যান হিসাবে দীর্ঘ ৭ বছর সফটওয়্যার  ইন্ডাস্ট্রির মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি বেসিসের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোগ্রাম, সেমিনার, ওয়ার্কশপ আয়োজনের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আছেন।

তথ্যপ্রযুক্তি সেবাপণ্য বানানোতে লিয়াকত হোসাইনের পেশাগত দক্ষতা এবং প্রশাসনিক দক্ষতা উভয়ই প্রশংসার দাবিদার।  ১৩ বছর ধরে তাঁর প্রতিষ্ঠান বড় পরিসরে (লার্জ স্কেলে) এন্টারপ্রাইজ সল্যুশন নিয়ে কাজ করে আসছে। ইতোমধ্যেই ১৯টিরও বেশি কাস্টমাইজড সফটওয়্যার ডেভেলপ করেছেন, যা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ইমপ্লিমেন্টেশন করা হয়েছে। এছাড়াও গত ৩ বছর ধরে সফটওয়্যার এজ এ সার্ভিস (সাস) প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন। ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেড থেকে   ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবাখাতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। এই জায়গাটাতে তাঁর প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত অনেকদূর এগিয়ে যাবে।

তথ্যপ্রযুক্তিপ্রেমী লিয়াকত হোসাইন বলেন, আমি আমার দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবাপণ্য বানানোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বেসিসের সকল সদস্যদের সাথে নিয়ে তাদের তৈরি তথ্যপ্রযুক্তিপণ্যগুলোকে সারা দেশসহ বিশ্বের ক্রেতাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। সেইসাথে বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে সরকারের রপ্তানিবান্ধব বেশকিছু উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে একটি নির্ভরযোগ্য রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা এবং সুযোগগুলো বলবৎ থাকা প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ২০২৪ সালের জুন থেকে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিখাতের আয়কর এবং মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির সুবিধা শেষ হতে যাচ্ছে, যেটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমি অনেক বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে আসছি এবং সরকারের সাথে সুসম্পর্ক এবং ভালো যোগাযোগ আছে। তাই আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই বিষয়টিতে দক্ষতার সাথে কাজ করে  ইন্ডাস্ট্রিকে ভাল কিছু উপহার দিতে পারবো।

নির্বাচনে ‘টিম স্মার্ট’র অন্যান্য  সদস্যরা হলেন জেনারেল ক্যাটাগরি থেকে মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, মোহাম্মদ রিসালাত সিদ্দিকী, মীর শাহরুখ ইসলাম, এ এস এম রফিক উল্লাহ, মঞ্জুরুল আলম, সৈয়দা নওশাদ জাহান, নিয়াজ মোর্শেদ এবং আরমান আহমেদ খান, লুতফি হায়দার চৌধুরী ও এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস।

আগামী ৮ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে বেসিস নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলবে। সেদিনই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

বেসিসের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৮ ও আন্তর্জাতিক সদস্য ভোটার ৯ জন। বেসিসের মোট সদস্য সংখ্যা দুই হাজার ৪০১ জন।

বেসিসের নির্বাচন পরিচালনার জন্য টি আই এম নুরুল কবীরকে চেয়ারম্যান ও সৈয়দ মামনুন কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী সদস্য করে ৩ সদস্যের নির্বাচন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনে তিন সদস্যের আপিল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। আপিল বোর্ডে চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এবং সদস্য আবদুল্লাহ এইচ কাফি ও নাজনীন কামাল।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ১০৮ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর