বুধবার

ঢাকা, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ


টিপস

অনলাইনে ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় যা করতে হবে

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুর ৪:৫৪

টেকওয়ার্ল্ড প্রতিবেদক

Card image

ছবি: সংগৃহীত

বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের আরও সচেতন করে তোলা এবং নিরাপত্তা রক্ষার সর্বাধুনিক সব উপায় সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভিসা, যাতে গ্রাহকরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেন।

প্রাত্যহিক বিভিন্ন কাজ, সামাজিক যোগাযোগ কিংবা কেনাকাটার জন্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমরা আরও বেশি অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর এর সুযোগ নিয়ে প্রতারকরাও নতুন নতুন সব পন্থায় গ্রাহকদের তথ্য ও অর্থ চুরির চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী অনলাইন জালিয়াতি ও তথ্যচুরির ঘটনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এই ঝুঁকির আওতায় রয়েছে বাংলাদেশও।

বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের আরও সচেতন করে তোলা এবং নিরাপত্তা রক্ষার সর্বাধুনিক সব উপায় সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভিসা, যাতে গ্রাহকরা আরও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করতে পারেন।

‘১১ ফেব্রুয়ারি নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস’-এ ডিজিটাল পরিসরে গ্রাহকদের নিরাপদ থাকা ও ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিতের কার্যকরী কিছু পরামর্শ জানিয়েছে ডিজিটাল পেমেন্ট খাতের প্রতিষ্ঠান ভিসা। সাধারণ গ্রাহক ও কার্ডহোল্ডারদের জন্য ডিজিটাল পরিসরে নিজেদের তথ্য নিরাপদে রাখা ও শতভাগ নিশ্চয়তার সঙ্গে ডিজিটাল পেমেন্ট সম্পাদনের নানা উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে ভিসা। গ্রাহকদের নিরাপদে রাখতে ভিসার পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে।

বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে ডিভাইস নিরাপদ রাখা
ফোন ও ল্যাপটপের মত ডিভাইসগুলোতে আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) বা চেহারা (ফেসিয়াল রিকগনিশন) ব্যবহার করা হলে তা গতানুগতিক পিন বা পাসওয়ার্ডের চেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা দেয়। বিশেষত ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট ব্যবহার করা
অনিরাপদ ওয়েবসাইট চেনার একটি সহজ উপায় হল এগুলো https:// দিয়ে আরম্ভ হয় না। এ ধরণের ওয়েবসাইটে ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রেও সবসময় বিশ্বস্ত অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা উচিৎ, অন্যথায় সফটওয়্যার সংক্রান্ত ঝুঁকি রয়ে যেতে পারে।

প্রাইভেসি পলিসি ভালোভাবে পড়া
অনেক দীর্ঘ ও জটিল হলেও যেকোনো ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতিমালা অর্থাৎ প্রাইভেসি পলিসিগুলো বিস্তারিত পড়ে নিলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের কতটুকু তথ্য সংগৃহীত হচ্ছে এবং তা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে – এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারেন। ভালোভাবে পড়ে কোন তথ্যগুলো শেয়ারের অনুমতি দেয়া হচ্ছে, তা জেনে নিলে সম্ভাব্য যেকোনো প্রতারণা এড়ানো যায়।

ক্ষতির সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়া
অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে তাৎক্ষণিকভাবে নেয়ার মত পদক্ষেপগুলোও জেনে রাখা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নির্ধারিত হেল্পলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংক বা পেমেন্ট প্রোভাইডারের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করা ও অনাকাঙ্ক্ষিত লেনদেনের বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানানো উচিৎ।

উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল পরিসরে আরও নিরাপদে কেনাকাটা ও অর্থ লেনদেন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। প্রযুক্তির রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে প্রতারকরাও নিত্যনতুন উপায়ে গ্রাহকদের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাই এই নিরাপদ ইন্টারনেট দিবসে ইন্টারনেট ব্যবহারে আরও বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হবার প্রত্যয় জানাতে হবে।

সংবাদটি পঠিত হয়েছে: ১০৫ বার

এ সম্পর্কিত আরও খবর