১৬ ঘন্টা আগে
২৩ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
দেশের মানুষের প্রত্যাশিত এই স্টারলিংক কি কি সেবা দিতে পারবে সেসব সেবার পরিধি ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। সেসাথে দেশীয় স্যাটেলাইট খাত ও এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবাদাতাদের স্বার্থ রক্ষায় এই পরিধি নির্ধারণ করা ছাড়াও আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থস্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি দেশি প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী স্টারলিংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এর অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির একটি প্রতিনিধিদল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। এরই মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠান যৌথ অংশীদারত্বে কাজ করার জন্য চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে।
দেশের মানুষের প্রত্যাশিত এই স্টারলিংক কি কি সেবা দিতে পারবে সেসব সেবার পরিধি ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। সেসাথে দেশীয় স্যাটেলাইট খাত ও এ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবাদাতাদের স্বার্থ রক্ষায় এই পরিধি নির্ধারণ করা ছাড়াও আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এজন্য বিটিআরসি প্রথম দফায় অনুমোদিত নন-জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট (এনজিএসও) সেবা গাইডলাইনে পরিবর্তন ও সংযোজন এনেছে। আর এটি চেয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। পরিবর্তন ও সংযোজনের পর বিটিআরসি এনজিএসও সেবা গাইডলাইন দ্বিতীয়বারের মতো মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
গাইডলাইন অনুযায়ী, এনজিএসও সেবাদাতারা ইন্ট্রানেট সার্ভিস, আর্থ এক্সপ্লোরেশন স্যাটেলাইট সার্ভিস, রিমোট সেন্সিং, আবহাওয়াসংক্রান্ত সেবা এবং বিটিআরসি নির্ধারিত অন্যান্য কোনো সেবা যদি থাকে সেগুলো দিতে পারবে না। আগের গাইডলাইনের ১৬.৪ অনুচ্ছেদে এনজিএসওদের অন্যান্য সেবার সঙ্গে ইন্ট্রানেট সার্ভিস (ডোমেস্টিক ডাটা কমিউনিকেশন) ও আর্থ এক্সপ্লোরেশন স্যাটেলাইট সার্ভিস, রিমোট সেন্সিং, আবহাওয়া সংক্রান্ত সেবা দেয়ার বিষয়টিও ছিল।
এখন এই গাইডলাইন অনুযায়ী এনজিএসও সেবাদাতারা শুধুমাত্র ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), মেশিন টু মেশিন যোগাযোগ, আর্থ স্টেশন ইন মোশন এবং প্রতিটি সাইটের জন্য বিটিআরসির অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যাকহল সেবা দিতে পারবে।
এরআগে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থস্টেশন স্থাপনে বেশ কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। যার অংশ হিসেবে স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে এবং এরই মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠান যৌথ অংশীদারত্বে কাজ করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই অংশীদারত্বের আওতায় মহাকাশে স্পেস বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘স্টারলিংক বাংলাদেশের শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে, যা লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বাধা থেকে মুক্ত থাকবে। যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং অনেক দূরবর্তী এলাকায় এখনও লোডশেডিং সমস্যা রয়েছে, স্টারলিংক দেশের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে।’
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...