১৭ ঘন্টা আগে
১ দিন আগে
ছবি: সংগৃহীত
নির্দেশিকার ২৬ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আইনানুগ আড়ি পাতার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে একটি ‘গেটওয়ে সিস্টেম’ স্থাপন করতে হবে, যার মাধ্যমে নির্ধারিত সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারবে।
স্যাটেলাইটনির্ভর ইন্টারনেট সেবায় নজরদারির সুযোগ রেখে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই নির্দেশিকার ফলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলে আইনানুগ পর্যবেক্ষণের আওতায় আসবে।
এর আগে বুধবার বিটিআরসি ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং গাইডলাইনস ফর নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিসেস অপারেটর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক নির্দেশিকাটি প্রকাশ করে, যা স্টারলিংকের সম্ভাব্য কার্যক্রম বিবেচনায় রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে। স্টারলিংক, যা প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ করে।
নির্দেশিকার ২৬ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আইনানুগ আড়ি পাতার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে একটি ‘গেটওয়ে সিস্টেম’ স্থাপন করতে হবে, যার মাধ্যমে নির্ধারিত সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারবে। পাশাপাশি, লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে এবং বিটিআরসি অনুমোদিত ট্যারিফ অনুসরণ করতে হবে।
নতুন নির্দেশিকায় লাইসেন্স আবেদন ফি ৫ লাখ টাকা, লাইসেন্স ফি ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং ব্রডব্যান্ড সেবার জন্য বার্ষিক নিবন্ধন ফি ৩০ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম দুই বছর সেবাদাতাকে কোনো রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হবে না, তবে তৃতীয় বছর থেকে ৩ শতাংশ এবং ষষ্ঠ বছর থেকে ৫.৫ শতাংশ রাজস্ব ভাগাভাগি করতে হবে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইলন মাস্কের সঙ্গে ভিডিও কলে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্টারলিংক সংক্রান্ত আলোচনা করেন। এরপর, ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উজ্জ্বল এ গমেজ
অধ্যাপক ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গবেষক ও ডিজিটাল হেলথ সিস্টেমের একজন বিশেষজ্ঞ। উদ্ভাবন...